জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
রেজুলেশনটি উত্থাপনকালে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা তার বক্তব্যে বলেন, ‘এ বছর রেজুলেশনটি আরও প্রাসঙ্গিক ও জরুরি। কারণ বিশ্বব্যাপী আমরা কোভিড-১৯ মহামারির নজিরবিহীন ও বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলেছি। এর ফলে জাতিসংঘের প্রধান প্রধান কার্যাবলীতে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি বৃহত্তর পদচিহ্ন রাখতে পেরেছে এবং একটি প্রভাব সৃষ্টিকারী রেজুলেশনে পরিণত হতে পেরেছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। তারপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।
এবারেও ৭ সেপ্টেম্বর ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি উত্তরনে কার্যক্রমগুলোতে সবার অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ঘুরে দাড়ানোর সামর্থ অর্জনের বিষয়টি আরও এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতি যে রূপান্তরধর্মী ভূমিকা পালন করতে পারে তা তুলে ধরা হয় ফোরামটিতে।
রেজুলেশনটিতে করোনাভাইরাসকালীন বাস্তবতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে আয়, সুযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও টিকার নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যগুলো। এছাড়া যে সব বিষয় শান্তিকে বিপন্ন করে তুলে তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে রেজুলেশনটিতে।