করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শনিবার রাতে ১০২ ডিগ্রি জ্বর এসেছে। তবে, জ্বর থাকলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদলের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ডা. সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার জ্বর থাকলেও তাঁর শরীরের পালস, ব্লাড প্রেসার সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। তাই আপাতত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করা সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা খুব কম। তবে আরও কিছুদিন তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় রাত সোয়া ৯টায় তাঁর ব্যক্তিগত মেডিকেল টিম প্রবেশ করে। এ সময় অনলাইনেও লন্ডন থেকে ডা. জোবাইদা রহমান ও নিউইয়র্ক থেকে আরেকজন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। সেখানে রাত পোনে ১১টা পর্যন্ত বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী এ বিষয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার অক্সিজেন স্যাচুরেশন সব সময়ই ভালো। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ৯ দিন পর এখনো তাঁকে কোনো অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। তিনি মানসিক দিক দিয়ে খুবই স্ট্রং রয়েছেন। তবে, যদি কোনো জটিলতা বা বিপদ সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায় গত ১১ এপ্রিল। সেদিন থেকেই ‘বক্ষ্যব্যাধি ও মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের টিম তাঁর গুলশানের বাসা ফিরোজায় চিকিৎসা শুরু করেন। বেগম জিয়া ছাড়া ফিরোজায় অবস্থিত আরো ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবার চিকিৎসাই হচ্ছে সেখানে।