fbpx

ঝিঙা খেলে ভালো থাকবে চোখ, লিবার ও কিডনি!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রবাদ আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আরও সহজ করে বললে সফলতার পেছনে সুস্থ্যতা অনেক বড় একটি নিয়ামক। সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার প্রয়োজন।

শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি খাবারের মাধ্যমে আমাদের দেহে সরবরাহ না করা হলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় ও রোগ ব্যধি দেখা দেয়।

আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাবারের পাশাপাশি শাকসবজি খাই। ডাক্তারের কাছে গেলে তারা সবসময়ই রোগীকে শাকসবজির প্রতি জোর দিতে বলেন। তাদের পরামর্শ মতো সবজি খেলেও এই তালিকাতে প্রায় আমরা ঝিঙার নাম রাখি না। অথচ এই ঝিঙায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি।

ঝিঙার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই, আবার স্বাদে অনেকটা আকর্ষনীয় না হওয়ায় অনেকেরই পছন্দ হয় না এই সবজি। স্বাদে ততোটা ভালো না হলেও আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী ঝিঙা। চলুন জেনে রাখি ঝিঙা খেলে স্বাস্থের কী কী উপকার হয়।

যারা ডায়াবেটিস রোগে ভূগছেন তাদের জন্য ঝিঙা খুবই উপকারী কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিইড সমৃদ্ধ এবং এত ক্যালোরি খুবই কম। পাশাপাশি এটি হাইপোগ্লাইসেমিক হবার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

যাদের বয়স একটু বেশি তাদের জন্য ঝিঙা অত্যন্ত উপযোগী একটি সবজি কারণ এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ’এ’ থাকে যা চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, আংশিক অন্ধত্ব এবং চোখের অন্যান্য অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে ঝিঙা।

ঝিঙাতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান আর সেলুলোজ থাকে। সেলুলোজ এক ধরনের প্রাকৃতিক ফাইবার। ফলে ঝিঙা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এবং পেট ভালো রাখে।

ঝিঙা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম হতে সময় নেয়। ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে এবং এতে ক্যালোরি কম ও জলের পরিমাণ বেশি থাকে।

চোখ, লিভার, পাকস্থলী ও কিডনি সংক্রমণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে প্রধান হলো শরীরের কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঝিঙাতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, থায়ামিন এবং জিঙ্ক। যে কারণে ইমিউনিটি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঝিঙা।

সুস্থ-সবলভাবে বেঁচে থাকতে আমদের প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এবং সেই তালিকাতে অবশ্যই ঝিঙা রাখতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply