ধরা যাক কেউ বাড়ি ফিরবেন। তখন প্রথম পছন্দের যান হিসেবে অনেকেই বেছে নেন ট্রেন। ভাড়া সহনীয়, সময় লাগে কম আর পথের ঝক্কিও তেমন নয়। যেতে যেতে জানালা দিয়ে দেখা যায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতি। ট্রেন তাই জনপ্রিয় অনেক কারণেই। কিন্তু, নানা অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। লোকসান হচ্ছে। যাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ট্রেন থেকে। এ অবস্থায় সরকারও মনোযোগী রেলওয়ের উন্নয়নে। নতুন অনেক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে ট্রেনকে লাভজনক করতে। তেমনই এক পরিবর্তনের ঘোষণা এসেছে ক’দিন আগে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক মো. নাহিদ হাসান খাঁন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়মে পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এখন থেকে ১০ দিনের বদলে পাঁচদিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৫ এপ্রিল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১০ দিনের পরিবর্তে ৫ দিন আগে ইস্যু করা যাবে। এছাড়া, যাত্রার নির্ধারিত সময়ের ৪৮ ঘণ্টা আগে ভ্রমণ বাতিল করলে সার্ভিস চার্জ কর্তন সাপেক্ষে টিকিটের বাকী টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এসি কামরার টিকিটে এই সার্ভিস চার্জ ৪০ টাকা, প্রথম শ্রেণিতে ৩০ টাকা এবং অন্যান্য শ্রেণিতে ২৫ টাকা।

আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এখন থেকে যাত্রার নির্ধারিত সময়ের ৪৮ ঘণ্টার কম সময় বাকি থাকলে টিকিটের মূল্যের ২৫% টাকা কেটে রাখা হবে। একইভাবে, ট্রেন ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার কম সময় ও ১২ ঘণ্টার বেশি সময় বাকি থাকলে টিকিট ফেরতের ক্ষেত্রে যাত্রী ৫০% টাকা ফেরত পাবেন।
এছাড়া, যদি ১২ ঘণ্টার কম সময় এবং ছয় ঘণ্টার বেশি সময়ের মধ্যে টিকিট ফেরত দেওয়া হয়, তাহলে ৭৫% টাকা কেটে নেওয়া হবে। তবে ট্রেন ছাড়ার ৬ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে টিকেট ফেরতযোগ্য হবে না।
অনেকের প্রশ্ন, নতুন এ নিয়ম কতটা যাত্রীবান্ধব হলো? একটি বিষয় হয়তো পরিস্কার হলো যে, বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন ব্যবসা সফল হতে চাইছে। তার জন্য সেবার মানও বাড়াতে হবে। শুধু কি টিকিট কাটার নিয়ম বদলানোই যথেষ্ট?