fbpx

ডিজিটাল ক্লাসরুম পাচ্ছে ৬৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থ দিয়ে হাওর এবং প্রত্যন্ত, অনগ্রসর ও দুর্গম এলাকার এসব বিদ্যালয়ের ক্লাশরুম ডিজিটাল ক্লাসরুমে রূপান্তর করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) টেলিকম অধিদফতর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় ২ বছরের মধ্যে বিটিআরসির এ তহবিলের অর্থায়নে হাওর, প্রত্যন্ত, অনগ্রসর ও দুর্গম এলাকার ৬৫০টি স্কুলে ক্লাসরুম ডিজিটাল করা হবে। এর মধ্যে ৩০টি স্কুলে শিশুরা বইবিহীন বা অনলাইনে ট্যাবে লেখাপড়া করতে পারবে। তাদের ক্লাসে ডিজিটাল টিভি, আইপিএস ও ইন্টারনেট থাকবে। তাদের ২০২০ সালে ইনটেলের সঙ্গে উইটসা পুরস্কার প্রাপ্ত ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পাঠদান করা হবে। ডিভাইস ও ইন্টারনেট থাকলে শিশুরা বাড়িতে বসে বা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে। টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, বেসরকারিভাবে ২০০০ ও ২০১৫ সালে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা দেশে চালু হলেও সরকারিভাবে ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় শিক্ষার সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন এর প্রক্রিয়া এই প্রথম।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের মূলভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা আনন্দময় করে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা পাঠ্যক্রম আবশ্যক। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত পদ্ধতির শিক্ষাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই’।

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বইয়ের পরিবর্তে একদিন ট্যাব বা ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে যাবে এবং সেদিন খুবই কাছে। যুক্তরাজ্যে শতকরা ৮৮ শতাংশ শিশুর হাতে ট্যাব আছে। তাদের বইয়ের দিকে তাকাতে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনে সামান্য ফল দেবে, কিন্তু প্রাথমিকের ডিজিটাল রূপান্তরে শতভাগ ফল পাওয়া সম্ভব’।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল শিক্ষা প্রবর্তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘করোনাকালে অচল জীবনধারা সচল রাখার পাশাপাশি ঘরে বসে শিশুরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বড় দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে আমরা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই’।

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হাসিবুল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এম মনসুরুল আলম এবং টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসীনুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply