fbpx

ঢাকার কলাবাগানে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী খুন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীর কলাবাগানে ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ইংরেজি মাধ্যমপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নিহত স্কুলছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আটক চারজনের মধ্যে এ লেভেল পরীক্ষা দেওয়া এক তরুণ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে। তারা জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছে। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝড়ছে ।

নিউমার্কেট এলাকার পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ওই তরুণকে আটকে রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। কলাবাগান থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তরুণকে আটক করে। আটকের খবর পেয়ে তরুণের তিন বন্ধু হাসপাতালে যায়। পুলিশ তাদেরও আটক করে। পরে চারজনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের জবানবন্দী অনুযায়ী,  স্কুলছাত্রীর মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃহদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয় ।

কলাবাগান থানা সূত্র জানায়, আটক এ লেভেল পরীক্ষা দেওয়া এক তরুণ দাবি করেছেন, মেয়েটি তার পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই ঢাকার বাইরে থাকার সুযোগে তাকে ডলফিন গলির তাদের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে । ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে তারা।

নিহত স্কুলছাত্রীর মা গণমাধ্যমকে জানান, বেলা ১ টার দিকে একটি ছেলে তাকে ফোন করে জানায় তার মেয়ে অচেতন হয়ে গেছে। তার শরীর থেকে রক্ত ঝড়ছে। এসময় মেয়েটির মাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে বলা হয়। ওই ছেলের পরিচয় জানতে চাইলে ছেলেটি ফোন রেখে দেয় ।

নিহত কন্যার মা অভিযোগ করেন, ওই বখাটেরা পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। তার মেয়েকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ওই বখাটেসহ চারজন মিলে ধর্ষণ করেছে। হয়তো বাধা দেওয়ায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। মেয়ের হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন বলেও জানান তার মা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply