বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় দোহা থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (বিজি-০২৬) মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
গত সোমবার(৩০ সেপ্টেম্বর) নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিমানের এই পাইলট।
বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর আলীসহ বিমানের কর্মকর্তারা তার মরদেহ গ্রহণ করেন।
জানা যায়, দুপুরে বিমানের প্রধান কার্যালয়ে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।
গত ২৭ আগস্ট ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে ভারতের রায়পুরের আকাশে থাকাকালে হুট করে হার্ট অ্যাটাক করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম। তখনই ককপিটের কন্ট্রোল নেন সঙ্গে থাকা ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম। মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে ক্যাপ্টেন নওশাদকে ও যাত্রীদের নিয়ে দ্রুত নাগপুরের ড. বাবা সাহেব আম্বেদকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে উড়োজাহাজটি।
নওশাদ নাগপুরের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ আগস্ট মারা যান তিনি।
শুক্রবারই(২৭ আগস্ট) আরেকটি ফ্লাইটে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুর যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরও ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।