অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা আবদুল কাদের। খবরটি বিবিএসবাংলাকে নিশ্চিত করেন তার পুত্রবধু জাহিদা ইসলাম।
ক্যান্সার আক্রান্ত অভিনেতা আবদুল কাদের ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বর্তমানে তার মৃতদেহ সেখানেই রাখা হয়েছে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে থাকা এ অভিনেতা সম্প্রতি করোনাভাইরাসেও সংক্রমিত হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার জানাজা ও দাফন কখন, কোথায় হবে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পরিবার।

‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বদি চরিত্রে অভিনয় করে দেশজুড়ে খ্যাতি পান অভিনেতা আবদুল কাদের। ছবি : সংগৃহীত
প্রায় ২৬ বছর আগে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে তিনি বদি চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই অভিনেতা। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থেকেও আবদুল কাদের প্রায় শতাধিক টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ ধারাবাহিকে দুলাভাই চরিত্রেও অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন।
এছাড়া হানিফ সংকেতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি। ছোটপর্দা, বিজ্ঞাপন এবং বড়পর্দা- তিন মাধ্যমেই সমান জনপ্রিয় ছিলেন আবদুল কাদের।
এই অভিনেতার জন্ম মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল।মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রী খাইরুননেছা। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।