দেশে টানা কয়েক দিন গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে জনজীবন হয়ে উঠেছিল অতিষ্ঠ। রমজান মাস হওয়ায় তীব্র এই দাবদাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছিলেন রোজাদাররা। সবাইকে কিছুটা প্রশান্তি দিতে অবশেষে রাজধানীবাসীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ বৃষ্টির দেখা পেল।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার পর রাজধানীতে শুরু হয় ঝড়। থেমে থেমে তীব্র গতিতে বাতাস আর মুষধলধারে বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল তাদের পূর্বাভাসে বৃষ্টির আভাস দিয়েছিল। তবে, রাজধানীর আকাশে সকাল থেকেই ছিল তীব্র রোদ। সারাদিন রোদের তীব্রতা আর গরমের পর অবশেষে রাতে সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি নামল। টানা আধা ঘণ্টার বেশি হওয়া বৃষ্টিতে স্বস্তির দেখা পায় রাজধানীবাসী।
বুধবার রাত ৯টায় আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর জেলায় বিকেল থেকে কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। আর ঢাকার পাশাপাশি রাতে রংপুর, গাইবান্ধা জেলায়ও কালবৈশাখী হয়েছে।
তবে কাল রোদের তীব্রতা থাকলেও গত কয়েকদিনের তুলনায় সারা দেশে তাপমাত্রা কিছুটা কম ছিল। খুলনায় গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ৩৮ ডিগ্রি ও রাজশাহীতে ছিল ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলার দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ঢাকাসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সীতাকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, দিনাজপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু জায়গায় আরও বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
তাছাড়া, আজ সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।