সরকার অযৌক্তিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
সোমবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম তেলের দাম কমাতে। কিন্তু সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সড়ক ও নৌপথের ভাড়া বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তেলের দাম ও পরিবহন ব্যায় বাড়ানো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। আমরা ডিজেল, কেরোসিন এর বর্ধিত দাম কমানোর দাবি করছি। পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথের বর্ধিত ভাড়াও কমানোর দাবি জানাচ্ছি।
জাতীয় পার্টি চেয়াম্যান বলেন, গেল ৩ নভেম্বর রাতে হঠাৎ করেই ডিজেল ও কোরেসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এই সিদ্ধান্তে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনে নামলে সরকার তেলের দাম না কমিয়ে বাস ভাড়া ২৭ ভাগ এবং লঞ্চ ভাড়া ৩৫ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। এতে সাধারণ মানুষ অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হবে। তেলের দাম বাড়ার সাথে পরিবহনসহ জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, করোনাকালে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমন বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত।
পাশ্ববর্তী দেশ ভারতও এই মুহুর্তে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমিয়ে দিয়েছে। তাই জীবন যাত্রার ব্যায় স্বাভাবিক করতে জ্বালানি তেল ও গণপরিবহনের ভাড়া কমানো অত্যান্ত জরুরি।