fbpx

দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২১ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক কনজারভেটিভ থিংক ট্যাংক দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের গবেষণা এমনটিই দাবি করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে ভারত, চতুর্থ স্থানে শ্রীলংকা, পঞ্চম স্থানে মালদ্বীপ, ষষ্ঠ স্থানে আফগানিস্তান, সপ্তম স্থানে পাকিস্তান এবং তালিকার শেষে অষ্টম স্থানে আছে নেপাল।

হেরিটেজ ফাউন্ডেশন মূলত চারটি ক্যাটাগরির ওপর ভিত্তি করে একটি দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মূল্যায়ন করে থাকে। এগুলো হলো – আইনের শাসন, সরকারের আকার, নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা ও উন্মুক্ত বাজার।

আর এ চারটি বিস্তৃত ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ১২টি পরিমাপক হল – সম্পত্তির স্বাধীনতা, বিচার বিভাগীয় কার্যকারিতা, সরকারের অখণ্ডতা, করের বোঝা, সরকারি ব্যয়, রাজস্ব স্বাস্থ্য, ব্যবসার স্বাধীনতা, শ্রম স্বাধীনতা, মুদ্রানীতির স্বাধীনতা, বাণিজ্য স্বাধীনতা, বিনিয়োগ স্বাধীনতা ও আর্থিক স্বাধীনতা।

আগের চেয়ে বাংলাদেশের কিছু বিষয়ে স্কোর বেড়েছে। যেমন – সরকারের অখণ্ডতা, করের বোঝা, ব্যবসার স্বাধীনতা ও শ্রম স্বাধীনতা।

তবে সবচেয়ে স্কোর বৃদ্ধি পেয়েছে করের বোঝা নামক পরিমাপকে। একে একটি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক স্বাধীনতার একটি বড় প্রভাবক ধরা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, করের বোঝা পরিমাপের ক্ষেত্রে সরাসরি করের বোঝা, ব্যক্তিগত ও করপোরেট পরিসরে করের হার এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় শতাংশ হিসেবে কর, মোট আদায়কৃত কর, রাজস্ব আয়- এ সবগুলো বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়।

ওয়াশিংটনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গেল কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন ধীরগতির। কিন্তু স্থির প্রকৃতিতে দেশটি বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে।

বৈশ্বিক হিসাবে এই সূচকে ১০০ তে বাংলাদেশের স্কোর ৫৬.৫। আর বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২০ তম।

এ প্রতিবেদনে বিশ্বের ৬৩ টি দেশ ‘বহুলাংশে অনুদার’ ক্যাটাগরিতে আছে। আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশও এ তালিকাভুক্ত। যা সূচকের গড় অর্থনৈতিক স্বাধীনতার হিসাবের চেয়েও কম।

এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১৭৮টি দেশের মধ্যে ‘মুক্ত’ শ্রেণিতে আছে – সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ পাঁচটি দেশ। আর ‘বহুলাংশে মুক্ত’ তালিকায় স্থান পেয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৩৩টি দেশ।

এছাড়া ‘মাঝারি মাত্রায় মুক্ত’ তালিকায় আছে – স্পেন, ভিয়েতনাম, রাশিয়াসহ ৫৯টি দেশ এবং ৬০ এর কম স্কোর পাওয়া ৮১টি দেশ ‘বহুলাংশে অনুদার’ তালিকায় রয়েছে।

এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিক দিয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে উত্তর কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও কিউবা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply