জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির সাথে অনেকের শৈশব-কৈশর জড়িয়ে আছে। সেই ১৯৮৯ সালে প্রথম প্রচারিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সমান জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান। কৌতুক নির্ভর, ব্যাঙ্গাত্মক এই অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা, পরিচালনা এবং উপস্থাপনায় আছেন হানিফ সংকেত।
তবে ইত্যাদির এবারের আয়োজন একটু ভিন্ন রকম। এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেল লাইন-৬ এর ডিপোতে। গত ১৬ জুলাই দেশের প্রথম দূর নিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক মেট্রোরেলের প্রথম গন্তব্যস্থল সুবিশাল ওয়ার্কশপে ধারণ করা হয় এই পর্বটি।
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানটি করায় কোন দর্শককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই হিসাবে এটিই হচ্ছে প্রথম দর্শকশূন্য ইত্যাদি। মেট্রোরেলের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নির্মাণ করা মঞ্চে অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বরাবরের মত দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের গান রয়েছে। মনোয়ার হোসেন টুটুলের সুরে, একটি দেশাত্ববোধক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী। গানটির কোরিওগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির কয়েকজন স্থপতি ও প্রকৌশলী।
অন্যদিকে, নয়া দামান খ্যাত শিল্পী তসিবাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবারের ইত্যাদিতে। সংগৃহীত কথা ও সুরে ইত্যাদির জন্য একটি গানে কণ্ঠ দেন তসিবা। গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেছেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্পীরা।
আগেই বলেছি, এবারের ইত্যাদি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। কারণ এবারে থাকছে মেট্রোরেলের ইতিহাস, অগ্রগতির বিভিন্ন কারিগরি দিক নিয়ে তিনটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
থাকছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রকৌশলী মো. আমিনউল্লাহ’র ওপর একটি প্রতিবেদন। ‘বিদেশি প্রতিবেদন’, গ্রিসে ধারণকৃত অলিম্পিক স্টেডিয়ামের প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস থেকে বর্তমান ইতিহাস। এছাড়াও নিয়মিত সব সেগমেন্টতো থাকছেই। ৩০ জুলাই (শুক্রবার) রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে একযোগে প্রচারিত হবে অনুষ্ঠানটি।