চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগে একই গতিতে ছুটছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে তরুণদের ছিল জয়জয়কার। গেলো সপ্তাহে অ্যানফিল্ড মাতিয়েছিলেন তিন তরুণ।
ওই ম্যাচেই অলরেডদের নিশ্চিত হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্ব। সেই ধারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও ধরে রাখলো ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। উলভার হ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল।
এই ম্যাচ দিয়ে অ্যানফিল্ডে ৯ মাস পর দর্শক ফিরেছে। দুই হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বেশ উজ্জীবিত ছিলো স্বাগতিক দলের ফুটবলাররা। গোল করেছেন এবং করিয়েছেন মোহামেদ সালাহ।
শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকা ম্যাচের ১২ মিনিটেই ভালো সুযোগ পায় অলরেডরা। রবার্টসনের পাসে হেড দিয়ে সাদিও মানে গোল করতে পারলে এগিয়ে যেতে পারতো লিভারপুল। অবশ্য ১২ মিনিটের ব্যবধানে সুযোগ নষ্ট করেননি সালাহ। মাঝমাঠ থেকে জর্ডান হেন্ডারসনের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় ডিফেন্ডাররা। খুব কাছ থেকে বল জালে জড়ান মিশরের ফরোয়ার্ড। বিরতির আগে পেনাল্টি পেয়েছিলো সফরকারি দল। কিন্তু বাতিল হয়ে যায় ভিএআরে।
বিরতির পর আরো বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে স্বাগতিকরা। ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভাইনালদাম। হেন্ডারসনের বাড়ানো বল বুলেট গতিতে ওয়ান্ডারার্সের জালে জড়ান ডাচ মিডফিল্ডার।
৬৭ মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন মাতিপ। সালাহর ক্রসে খুব কাছ থেকে হেডে বল জালে পাঠান তিনি। ৩-০ তে পিছিয়ে পড়া দলকে আরো বিপদে ফেলেন উলভার হ্যাম্পটনের ডিফেন্ডার নেলসন সেমেদো। ৭৮ মিনিটে তার আত্মঘাতী গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের।
১১ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্র’য়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে অলরেডরা। আর সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা টটেনহ্যাম আছে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে।