সকাল হতেই পসরা সাজিয়ে রয়েছেন শাহাবাগের ফুল ব্যবসায়ীরা। নানা বর্ণে,গন্ধে ভরে উঠেছে ফুলের হাট। শুধু ফিকে হয়ে আছে ব্যবসায়ীদের মন।
করোনার কঠোর বিধিনিষেধে অনেক খাতের মতো ভাটা পড়েছে ফুল ব্যবসাতেও। স্বাভাবিক সময়ের থেকে এখন ফুলের বিক্রি হচ্ছে তিন ভাগের এক ভাগ। এক বিক্রেতা বলেন, ’আগে যে গোলাপ ১০ থেকে ১২ টাকা পিস বিক্রি হতো, এখন তা দশ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় তাও কেউ নিচ্ছে না। কারণ মানুষ রাস্তায় বের হতে পারছে না।’
লকডাউনের কারণে, বিয়ের অনুষ্ঠানসহ সব উৎসব-আয়োজন বন্ধ থাকায় ফুলের চাহিদা নেই একেবারই। যা বিক্রি বাট্টা, তার বেশির ভাগই মন্দির ও ঘরোয়া পূজার জন্য।
তারা জানান, সময় মতো বিক্রি করতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে শত শত ফুল। পুঁজির বড় একটা অংশ হারিয়ে দিশহারা ফুল চাষীরা। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘চাষীরা ফুল বিক্রি করতে না পাইরা, ক্ষেত কেটে ফেলছে। সব টাকা পানিতে যাচ্ছে।’
শুধু শাহাবাগেই ফুল ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। তাদের সবার দিনই এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে যাচ্ছে।
সংকটময় এই পরিস্থিতিতে কর্মচারী, দোকান ভড়া, পরিবহণ ব্যয়সহ আনুসঙ্গিক খরচ মিটিয়ে যতটুকু আয় তাতে চলে সংসার।
দেশের অর্থনীতিকে প্রতিবছর গড়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার অবদান রয়েছে ফুল ব্যবসায়। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সহযোগীতা ছাড়া এ খাত টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে বলেই মনে করেন তারা।