বাজারে ধানের মূল্যের সঙ্গে চালের বাজারমূল্য সমন্বয় করে দিলেই সরকারের ঘরে চাল সরবরাহ করবে চালকল মালিকরা। ২৫ নভেম্বর দুপুরে বগুড়া শহরের একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভায় এ কথা বলেন চালকল মালিকরা।
মালিকরা জানান, এবার ধানের বাজারে দাম ভালো হবার কারণেই কৃষক ভালো দাম পেয়েছে। তাই ধানের সঙ্গে চালের বাজার মুল্যও সামঞ্জস্য করতে হবে, তবেই সরকারের ঘরে চাল ঢুকবে, না হলে সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেএম লায়েক আলী, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোহন পাটোয়ারী ও অন্যান্যরা ।
চলতি আমন মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৭ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমন মৌসুমে দুই লাখ টন ধান, ছয় লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। সব মিলিয়ে সাড়ে আট লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
কিন্তু এ দামে সরকারকে চাল সরবরাহ করা আর সম্ভব নয় জানিয়ে চালকল মালিকরা জানান, গত ইরি মৌসুমে লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করেছে তারা এ ছাড়াও করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তারা । তাই আর নয়। চালের মূল্য সরকারকে পুনরায় নির্ধারণ করে,বর্তমানে ধানের দাম অনুসারে চালের মূল্য ৪২-৪৪ টাকা কেজি
দিতে হবে বলে জানান তারা ।
এ সময় চালকল মালিকরা জানান, সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিলেও আমরা খাদ্যমন্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা চাইলেও পাইনি । তাছড়াও করোনার সময় সব মিল-কারখানা বন্ধ থাকলেও চালকল বন্ধ থাকেনি বলে জানান বক্তারা ।