fbpx

দুঃসময়ের অক্সিজেন ‘আর্তসেবা’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা রোগীদের নানা ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বিডি আর্তসেবা ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

২০১৬ সাল থেকে নানামুখী জনসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত সংগঠনটি করোনাকালেও রেখেছেন সর্বোচ্চ মানবতার উদাহরণ।

করোনার শুরুতে রাস্তায় জীবানুনাশক ছিটানোর দায়িত্ব পালনকালে করোনা আক্রান্ত হন এই সংগঠনের একজন সদস্য। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। এসময় বন্ধুর পরিবারসহ কেউ পাশে না দাঁড়ালেও এগিয়ে আসেন সংগঠনের সভাপতি জুনায়েদ আহসান। প্রতিদিন তাকে দেখতে যান হাসপাতালে।

হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট এবং আশেপাশের রোগীদের দুঃখ দুর্দশা দেখে সিদ্ধান্ত নেন, করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি। সভাপতির আহ্বানে সাড়া দেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরাও।

জুনায়েদ আহসান বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই আমরা মানুষকে নানারকম সেবা দিয়ে যাচ্ছি বিনামূল্যে। যাদের নমুনা পরীক্ষা করা দরকার। আমরা আইইডিসিআর এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেই। যাদের অক্সিজেন দরকার, আমরা বাসায় পৌঁছে দেই। ওষুধ লাগলে ওষুধ, খাবার লাগলেও পৌঁছে দেই।‘

অর্থের যোগান সম্পর্কে জানতে চাইলে জুনায়েদ জানান, ‘প্রথমদিকে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে দু’টো সিলিন্ডার কিনে কাজ শুরু করি। পরে অনেকেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করে সাহায্য করতে চেয়েছেন। এখন আমাদের সিলিন্ডারের সংখ্যা ২৫। যারা সাহায্য করেছেন তাদের কাছ থেকে পাওয়া সিলিন্ডার মিলে আমাদের এখন মোট সিলিন্ডারের সংখ্যা দেড়শোরও বেশি।‘

আর্তসেবা ফাউন্ডেশনের দলনেতা আরও বলেন, ‘শুরুতে আমরা শুধু রাজধানীর ভেতরেই সেবাদান চালিয়ে গেছি। এখন আমরা প্রায় ১০ টি জেলাতে অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যে জেলাই রেড জোনে পরিণত হচ্ছে, সেখানে আমরা কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকসহ একটি দল করে ৫ থেকে ১০টি সিলিন্ডার পাঠিয়ে দিচ্ছি।‘

বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ, প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ, খাদ্য সরবরাহ, গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা এমনকি মৃতদেহ দাফনের কাজেও সরাসরি সহযোগিতা করেন আর্তসেবা ফাউন্ডেশনের কর্মীরা।

সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী হৃদয় হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে আমাদের একটি পেইজ আছে। সেখানে কেউ নক দিলে বা আমাদের কাউকে ফোনে জানালে আমরা ঠিকানা অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেই। রাত যতটাই বাজুক, আমরা কখনো না করতে পারি না। মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটাই আমাদের কাছে গর্বের।‘

সোহেল আলম নামের একজন বয়স্ক স্বেচ্ছাসেবী জানান, ‘আমার বয়স ৪০ এর বেশি বলে আমি করোনার টিকা নিতে পেরেছি। কিন্তু যেসব কর্মীদের বয়স ৩৫ এর কম তারা টিকা নিতে পারছে না। ফ্রন্টলাইনার হিসেবে তাদের টিকা নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা অনেক মাধ্যমে চেষ্টা করেছি, হয়তো এবার পেতে পারি স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply