fbpx

দৃশ্যমান হলো ৫ হাজার ৮’শ ৫০ মিটার, বাকি মাত্র দু’টি স্প্যান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

৩৯ তম স্প্যান (২-ডি) বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুর মুন্সিগন্জের মাওয়া প্রান্তের ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের উপর। ফলে, দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে স্প্যানটি বসানো হয়।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৯তম স্প্যানটি নিয়ে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশে রওনা হয়। পদ্মার মাঝের ওই পিলার দু’টিতে অল্প সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি পৌঁছায়। কারিগরি সমস্যা না থাকায় দিনে দিনেই স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়া হয়।

আবদুল কাদের জানান, মাত্র দু’টি স্প্যান এখনো বসানো বাকি রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ৬ বা ৭ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০তম স্প্যান বসানো হবে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পরবর্তী স্প্যান দুটি প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, নৌযানগুলো যাতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে, সেজন্য সেতুর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের আশেপাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের দু’টি বোট সারাক্ষণ সেখানে অবস্থান করে নিরাপদ দূরত্ব দিয়ে নৌযান চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেয়।

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।

দৃশ্যমান হলো ৫ হাজার ৮’শ ৫০ মিটার, বাকি মাত্র দু’টি স্প্যান

এরপর একে একে ৩৮টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার অংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুটি ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে নির্মাণ করা হবে।

৩০ হাজার  ১‘শ ৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গৃহীত এই প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। এছাড়া, দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। যার উপরের অংশে যানবাহন ও নিচের অংশে চলবে ট্রেন। ২০২১ সালে পদ্মাসেতুর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবার পর তা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে।
Advertisement
Share.

Leave A Reply