বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরীন। রবিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তাহমিনা শিরীন বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের শরীরে যুক্তরাজ্যের ধরন (ইউকে ভেরিয়েন্ট), ৮৫ জনের শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন, ৫ জনের নাইজেরিয়ান ধরন এবং ২৩ জনের শরীরে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ২৬৩টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি ভারতীয় ধরন (বি.১.৬১৭) পাওয়া গেছে। এটি ভারত ফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে।
করোনার ভ্যারিয়েন্ট কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলেও জানান তাহমিনা শিরীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যতম মুখপাত্র রোবেদ আমিন বলেন, করোনা সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক তারতম্য দেখা দিচ্ছে। সীমন্তবর্তী
এলাকাগুলোতে কিছু জায়গায় লোকাল ট্রান্সমিশন বেড়েছে। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন বর্ডারে ট্রান্সমিশন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বিভিন্ন ধরনের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে ভারতীয় ধরনও বিদ্যমান বলে জানান তিনি।