দেশে সাড়ে চার কোটি মানুষের জন্য আগামী মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত করোনার টিকা আসছে বলে জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে দেড় কোটি মানুষের জন্য তিন কোটি টিকা আসবে। বাকি আরও ৬ কোটি টিকা জুনের মধ্যে বাংলাদেশে আসছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেহেতু একজন মানুষকে এই ভ্যাকসিনের দু’টি করে ডোজ নিতে হবে, তাই সাড়ে চার কোটি মানুষের প্রত্যেকের হিসেবে ৯ কোটি ভ্যাকসিন আসবে। এই ভ্যাকসিন দিয়ে দেশের জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশের ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণ হবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আপাতত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কথাই চিন্তা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদনসহ যদি অন্য কোনো সংস্থা এ টিকা সরবরাহ করতে চায়, তাহলে সরকার কাউকেই মানা করবে না। কিন্তু, তাকে অবশ্যই ডব্লিউএইচও- এর প্রটোকল মানতে হবে এবং আমাদের দেশে যে টেকনিক্যাল কমিটি তারা যদি অনুমোদন দেন তাহলে কোনো সমস্যা নাই”।
এরই মধ্যে, এই টিকা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। ইপিআই দেওয়ার চেইনকে এখানে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠক প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস্ক পরার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পাশাপাশি, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে আরও সজাগ হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।