ভাসান চরে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন,আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসান চরে স্থানান্তরের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার ।
জনমানহীন ভাসান চরে আশ্রয় রাজি ছিলেন না রোহিঙ্গারা তাই এতদিন তাদের সেখানে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসান চরে পাঠানো হয়। এবং মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছে। এরপরেই ভাসান চরে যাবার জাবার আগ্রহ প্রকাশ করে রোহিঙ্গারা ।

ভাসান চর ক্যাম্প ছবিঃ সংগৃহীত
সামছু দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক তাদের তালিকা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। তবে প্রথম দফায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। ভাসান চরে এক লাখ রহিঙ্গা বসবাসের জন্য রয়েছে রান্নার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ,পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, খেলার মাঠ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি রয়েছে জীবিকা নির্বাহের সুযোগও ।
তবে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আপত্তি রয়েছে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তরে। সাগরের মাঝে বিচ্ছিন্ন ওই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে রোহিঙ্গারা কতটা নিরাপত্তা পাবে, তা নিয়ে তারা উদ্বেগ জানিয়েছে ।
এদিকে ভাসান চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলছেন, গত ১৭৬ বছরের মধ্যে কোনো ঘূর্ণিঝড় এই দ্বীপের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেনি। সবচেয়ে কাছের ঘূর্ণিঝড়টিও এ ৩৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল বলে জানান তিনি ।