fbpx

নারীদের রাজত্ব চীনের মসুও সমাজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চীনের ইউনান প্রদেশ পাহাড়ের কোলে মসুও সম্প্রদায়ে নারীরাই সর্বেসর্বা। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মাতৃতান্ত্রিক সমাজ এটি। নারীরা এখানে স্বভাবজাতই আত্মবিশ্বাসী, ক্ষমতাশালী।

ছোট্ট এই সম্প্রদায়ে জনসংখ্যা ৫০ হাজারের মত। এখানে পুরুষের প্রয়োজন কেবল সন্তান উৎপাদনের জন্য। এর বাইরে পুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে নিরুৎসাহিত করা হয়।

নারীদের রাজত্ব চীনের মসুও সমাজ

এখানকার নারীরা স্বভাবজাতই আত্মবিশ্বাসী, ক্ষমতাশালী। ছবি: সংগৃহীত

পাহাড়ের প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় অপূর্ব হ্রদ – লুঙ্গু লেক। সবুজ ঘেরা এই হ্রদের চারপাশ ঘীরেই সমুওদের বাস। স্বনির্ভর এই জাতিগোষ্ঠীটির প্রত্যেকেই কৃষিজীবি। তাদের জীবনযাত্রায় মেনে চলতে হয়, কঠর ধর্মবিশ্বাস আর সংস্কৃতি।

পুরুষরা এখানে পরিচিত হন নারীর পরিচয়ে। দাদা বা নানী হচ্ছেন পরিবারের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর। পরিবারের সদস্যদের উপার্যনের অংশ জমা হয় তার কাছে, তা দিয়েই চলে সংসার। আর পরবর্তী পরিবার প্রধান নির্বাচিত করা হয় বুদ্ধি আর পরিশ্রমের বিবেচনায়।

সম্পত্তির মালিকানা রযেছে নারীর হাতেই। মায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন মেয়েরাই। আর তারাই ভাই, ছেলে বা পুরুষ সম্পর্কের সবার ভরনপোষণের দায়িত্ব নেন। ঘরের কাজ ছাড়া খুব একটা বাইরে বেরও হননা এখানকার পুরুষরা। তাদের বড় দায়িত্ব বোনের ছেলে মেয়েকে লালন-পালন করা।

এই সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্ক একেবারেই অন্যরকম। তারা বিয়ে করে না। আবার পুরুষের সাথে দীর্ঘস্থায়ী কোনো সম্পর্কেও জড়াতে চায় না। নারীরা পছন্দ করে একাধিক পুরুষ সঙ্গ পেতে। তাই  বলে এই সমাজে পুরুষদের হেয় করে দেখা হয় না। নারীরা পুরুষের প্রতি ভীষণ রকম যত্নশীল।

মসুও’র বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন পাহাড়ী দেবী ‘গাম্বু’ তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। তারা ভালবাসেন রংবাহারী সাজপোশাক। নাচ-গান আর মদ্যপান তাদের খুব প্রিয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply