fbpx

নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এগিয়ে আছি। ২০২১ সালের জুনে এই টার্মিনালের ১৪ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল তবে আজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ১৭ ভাগ।

আজ শনিবার বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই টার্মিনালের আকার হবে বর্তমান বিমানবন্দরের দুইগুণেরও বেশি। টার্মিনালের সাথেই আশকোনার হজক্যাম্প থেকে একটি টানেল যুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে সম্মানিত হাজীরা হজক্যাম্প থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বহুমাত্রিক নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে পা রেখেছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে। এই টার্মিনালের সাথে মেট্রোরেল সংযুক্ত থাকবে। টার্মিনালটি হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড। দৃষ্টিনন্দন এই বিমানবন্দরে পা রেখেই একজন বিদেশি বাংলাদেশের সৌন্দর্য অনুধাবন করতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিডের আগ্রাসনে সারাবিশ্ব যখন থমকে ছিল তখনও একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। ২০২৩ সালের জুন মাসে এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে।

এর আগে দুপুরে টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। তাকে কাজের সার্বিক অগ্রগতি ব্রিফ করেন সাইট ম্যানেজাররা। এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) করা হয়েছে। টার্মিনাল ভবন হবে দুই লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। যার ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে ডিপার্চার বা বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্বোধন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply