ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো আশাবাদী যে যুক্তরাষ্ট্রের ফলাফল তাঁর পক্ষেই যাবে। তাই তিনি ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি যেন প্রমাণ করেই ছাড়বেন নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে।
পেনসিলভেনিয়ার ভোট গণনা স্থগিত রেখে রাজ্য আইনসভাকে ইলেকটোরাল কলেজ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
দ্য জেনারেল সার্বিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সব রাজ্যের ভোটের সার্টিফাই করা ফলাফল পাওয়ার পর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে এমন সার্টিফিকেশন শুরু হয়েছে। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সার্টিফিকেশন সমাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দ্য জেনারেল সার্বিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
উইসকনসিস রাজ্যের নির্বাচনী আইনে ডাকযোগে পাওয়া ব্যালট পেপার যথার্থ না হলে বাতিল হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। যেখানে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোটের ব্যবধান এক শতাংশের কম।
৩০ লাখ ডলার দিয়ে জনবহুল মিলওয়াকি এবং ডেন কাউন্টি এলাকায় পাওয়া ভোট আবারও গণনার আবেদন জানানো হয়েছে ট্রাম্প শিবির থেকে। জর্জিয়া এবং উইসকনসিনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী ট্রাম্প।
পেনসিলভানিয়া রাজ্যের আইনসভায় রিপাবলিকান সখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কোনো রাজ্য নির্দিষ্ট সময়ে ভোটের ফলাফল সার্টিফাই করতে সমর্থ না হলে আইনপ্রণেতাদের ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ আছে। এমন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম। আর ট্রাম্প হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম এই পথে হাঁটছেন।