fbpx

‘নির্মাণের প্রচেষ্টার জন্য সামির ধন্যবাদ পাবেন’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

১৫ জুলাই বায়োস্কোপে মুক্তি পেয়েছে তিন এপিসোডের অরিজিনাল অ্যান্থলজি সিরিজ ‘বউ ডায়েরিজ’। এতে অভিনয় করছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া, ইয়াশ রোহান, আহমেদ রুবেল, মৌটুসি বিশ্বাস, রওনক হাসান ও নাজিয়া হক অর্ষা। এই সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সামির আহমেদ। গল্পগুলো হচ্ছে ‘বোন আপেটিট’, স্পটলাইট এবং ‘টু লেট’। তিনজন গৃহিনীর বিবাহিত জীবনের নানা বাঁক, সঙ্কট ও দ্বিধা নিয়েই গড়ে উঠেছে এর কাহিনীগুলো।

চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার ‌’বউ ডায়েরিজ’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন তার ফেসবুক পেজে। প্রতিক্রিয়াটি বিবিএসবাংলার পাঠকের জন্য হুবগু তুলে ধরা হলো।

‘বউ ডায়েরিজ নামে তিনটি আধঘণ্টার নাটক দেখলাম। নামটা আমার পছন্দ হয় নাই। প্রথম পর্বে অর্ষা ছিল চমৎকার। রওনক হাসানকে শেফ মনে হয় নাই। শেফের কিছু বিশেষ ভংগী থাকে। সেটা কিচেনে তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে দেয়। এই বিষয়টা সংলাপে ছিলো। নানা রকম গুলাশ , ফ্রিটার্স, জাতীয় খাবারের মাঞ্চুরিয়ান নামধাম দিয়ে।

কিন্তু কিচেনে রওনক হাসানকে সেরকম রন্ধনকলায় পারদর্শী মনে হয় নাই। শেষমেষ দেখা গেলো শাবানার মতো অর্ষা সব বানিয়ে এনে তার কর্তাকে দিলো…. এ যেনো অহংকারী আলমগীরকে টিকিয়ে রাখার শাবানীয় চেষ্টা যা চিরকাল আমরা দেখেছি বাংলা ফিল্মের সংসারে।

দ্বিতীয় পর্বে বয়স বাড়ছে এমন এক বিখ্যাত অভিনেত্রীর চরিত্রে মৌটুসী ছিলো। আর রুবেল ছিলেন, অল্প একটু রওনক হাসানও। ডাবিং স্টুডিওর বাইরে বসে রওনকের সংলাপটা অভিনেত্রীকে অ্যাম্বিশাস বা উচ্চাকাংখী হিসেবে তুলে ধরলেও পুরো নাটকে কোথাও তাকে সেরকম মনে হয় নাই।

বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় একা এই সময়টুকুসহ বেশ কিছু জায়গায় এত সুন্দর অভিনয় করেছে মৌটুসী যে তাকে প্রশংসা না করলেই নয়। মেকআপ রুমে অসহায় হাসি, খাবার টেবিলে, একাধিক জায়গা আছে যেখানে মানুষের মনে হবে যে চরিত্রটা বাস্তব। কেউ অভিনয় করছে না। বৃষ্টির জায়গাটা ভোলার মতো না।

আর পালিয়ে বের হয়ে আসা স্পর্শিয়ার নাটক টা তার কারণে আর শিল্পী সরকার অপুর কারণে ভালো লাগে।

স্পর্শিয়া এরকম অভিনয় আগেও করেছে। কেন জানি তাকে সবাই এরকম ডেয়ারডেভিল চরিত্রের জন্য বেছে নেয়। তার অভিনয়ের দক্ষতা অনেক। এই নাটকটা মজার।
ছেলেটা সরি বলে এই জায়গাটা ভালো। উচ্চমাত্রার ভালো। মদ বা গাঁজার ইনফ্লুয়েন্সে থাকা কাউকে না বলাটা দরকার। এটা ছেলেটা বুঝেছে। এই বিষয়টা উচ্চমাত্রার দায়িত্ববোধ নিয়ে ছেলেদের সচেতন করবে এবং এটা খুবই উচ্চমাত্রার ভদ্রতা।

নাটকটার শেষ শুরুতেই বোঝা যায়। এটা হলো এই নাটকের দুর্বলতা। তবে ওয়েব সিরিজ মানেই গালাগাল, খুন, নেশা, অপরাধ এই চক্কর থেকে বের হয়ে অভিনয় ও গল্প নির্ভর নাটক নির্মাণের প্রচেষ্টার জন্য সামির ধন্যবাদ পাবেন। সব মিলিয়ে এই নাটক তিনটি ভালো।

আর অভিনয়ের জন্য তিন প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী বেশি নম্বর পাবেন। তাদের পাশে তাদের সঙ্গীদের একটু ম্লান মনে হয়েছে। এটা হয়তো পরিচালক ও কাহিনীকারের চেষ্টা ছিল। নাম যেহেতু বউ ডায়েরীজ।

আজকের প্রজন্ম ডেইলী জার্নাল বা ডায়েরীর আনন্দটা বোঝে কিনা সেটা বোঝা মুশকিল। কলমই তো উঠে যাচ্ছে কী বোর্ডের প্রতাপে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply