কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজার। এই দুই পণ্যের দাম বেড়ে চলছে উর্ধ্বগতিতে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে।
তবে দাম কমেছে সবজি ও পেঁয়াজের। আর আলু, ডিম, চাল এবং গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের নতুন আলু ও পাকা টমেটোর সরবরাহ বাড়ায় এ দুটি পণ্যের দাম কমেছে। নতুন আলু ও দেশি পাকা টমেটো ২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বেশিরভাগ সবজি এখন ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে নাগালে এসেছে পেঁয়াজের দামও।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে এখন সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, মুলা, বেগুন, পাকা টমেটো কোনো কিছুর কমতি নেই। দিন দিন এসব সবজির সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দাম কমছে। সামনে দাম আরও কমবে।
কেজিতে পাঁচ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকায়, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। আর আদা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।
তবে প্রতি কেজি চিনিতে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর খোলা ভোজ্যতেল লিটারে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়। খুচরা প্রতি লিটার তেলের দামও বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা।
এদিকে কমেছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা এবং ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
অন্যদিকে ২০ টাকা বেড়ে সোনালী মুরগি ২১০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।
বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা।