গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। গতকাল সোমবার(৩১ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করা হয়েছে বলে জানান ইথুন বাবু। মামলাটি করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) ২৯ ধারা অনুযায়ী।
আগামী বৃহস্পতিবার (৩ জুন) এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মামলা দায়েরের সপ্তাহখানেক আগে ইথুন বাবু ঢাকার হাতিরঝিল থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে দেওয়া এক পোস্টে নোবেল ইথুন বাবুকে চোর বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘ইথুন বাবু একটা চোর। অন্যের গান নিজের নামে চালায় দিসে।’
এরপরই নোবেলের বিরুদ্ধে জিডি করেন ইথুন বাবু। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা জিডি নম্বর ৮৯৯।
ইথুন বাবু বলেন, ‘সংগীতাঙ্গনে আমার দীর্ঘ জীবনের পথচলা। গুণীদের সঙ্গে যেমন কাজ করেছি, তেমনি তরুণদের সঙ্গেও কাজ করেছি। এই দীর্ঘ সময়ের সংগীতজীবনে কেউ কোনো দিন এমন কথা বলতে পারেনি। নোবেল আমাকে সে ধরনের কথা বলেছে। আমি নাকি চোর। আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা শেষ করেছে। ছেলে এমবিএ করছে। পরিবারের কাছে, আমার কর্মক্ষেত্রে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের কাছে এভাবে নোবেল আমার সম্মানহানি করবে, তা মেনে নিতে পারি না।’
ইথুন বাবু আরও বলেন, ‘শ্রোতা-ভক্তসহ সারা দেশে সংগীত এবং সংগীতের বাইরে আমার অসংখ্য বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। নোবেলের পোস্টের কারণে সবার কাছে আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি জিডি করার সময় পুলিশ কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করেছি, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য। নিশ্চয়ই কারও উসকানি আছে। নয়তো এমন সাহস নোবেল কোথায় পেল।’
ভারতীয় রিয়ালিটি শো ‘সারেগামাপা’ থেকে মাইনুল আহসান নোবেল জনপ্রিয়তা পান। পৌঁছে যান ভারত এবং বাংলাদেশের লাখ ভক্তের হৃদয়ে। কিন্তু ‘সারেগামাপা’ থেকে ফিরেই নোবেল উল্টাপাল্টা কথা বলার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। তিনি গান দিয়ে যতটা না আলোচনায় এসেছেন, তার চেয়েও অন্যকে নিয়ে বাজে মন্তব্য, ফেসবুকে দেওয়া বিভিন্ন স্ট্যাটাসের জন্য আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বেশি।
