নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে আবারও নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১ জানুয়ারি নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে স্বামীর অনুপস্থিতিতে জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা তার জামাকাপড় ছিঁড়ে মারধর করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ওই নারী ও তার ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে গ্রামবাসী জড়ো হতে থাকে, পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার পরেরদিন শনিবার নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায় তার স্বামী। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
হাতিয়া সার্কেলের সহাকরী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর ১৬জানুয়ারি শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথাও নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বিষয়ে তিনি জানান, ‘ওই ভিডিও কে বা কারা ফেইসবুকে পোস্ট করেছে, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। ভিডিও দেখে কাকে কারা নির্যাতন করেছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অপর এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যে সরকার ধর্ষণের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে।
