চতুর্থ দিন শেষে স্বাগতিকদের হেড কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, ফ্ল্যাট পিচেও জয়ের জন্যই ছুটবে তার দল। শেষ দিনে শুরুতে লঙ্কান দুই ব্যাটসম্যানের প্ল্যান পরিষ্কার, হাত খুলে খেলে ওভার প্রতি পাঁচ রান করে নিচ্ছিলেন দিমুথ আর ধনঞ্জয়া। দু’জনকেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে টেস্টে প্রত্যাবর্তনটা কিছুটা হলেও রাঙালেন তাসকিন আহমেদ।
পঞ্চম ওভারে এসে বাংলাদেশের কাটলো উইকেটের খরা। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে নিচু হয়ে আসা বলটায় ইনসাইড এজে বোল্ড হন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। চাপের মূহুর্তে ২২ চারে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে কমান্ডিং পজিশনে নিয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের ৫৪১ রান টপকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার বড় কারিগর অবশ্য ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে। ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট। ঠিক পরের ওভারেই কুইক বাউন্সারে ইনফর্ম করুনারত্নকে ফেরান তাসকিন। প্রায় দুই দিন ব্যাট করে ২৪৪ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন লঙ্কান অধিনায়ক।
চতুর্থ দিনে কোনো উইকেট মেলেনি, অথচ শেষ দিনে প্রথম ৪০ মিনিটেই তিন উইকেট বাগিয়েছে বাংলাদেশ। ৫৫৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট গেছে শ্রীলঙ্কার, ইবাদতের ১৪১ কি.মি. গতির বলে ভড়কে গিয়েছেন নিশাঙ্কা।
শেষ দিনে আলাদা ভাবে নজর কাড়ছেন তাসকিন। ১৩৫ কিঃমি’র আশপাশে গতি, লাইন লেন্থ সাথে ভ্যারিয়েশনও দেখাচ্ছেন টাইগার স্পিড স্টার। ২০১৭ সালের পর পাল্লেকেলের মরা উইকেটে সাদা পোষাকে ফিরে কি নতুন শুরুর আভাস দিচ্ছেন?