পটুয়াখালী জেলার দুমকি এলাকায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল এক সপ্তাহে এ রোগে শিশুসহ চারজন মারা গেছেন।
উপজেলা হাসপাতালে সিট সংকট দেখা গিয়েছে। একরকম বাধ্য হয়েই মেঝেতে শুয়ে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে হাসপাতালে ও বাইরে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনেও স্যালাইনসহ পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহীদুল হাসান শাহীন এই সংকটের কথা স্বীকার করেছেন। আপাতত ইনডেন দেয়া হয়েছে। দু’একদিনে সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্তে ভর্তি হওয়া জলিশা গ্রামের আ. হক মুন্সীর (৭০) মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ১১ মাস বয়সী আকিব খান নামের এক শিশুরমৃত্যু ঘটে। এছাড়া হাসপাতালের বাইরে পাংগাশিয়া ইউনিয়নে অন্তত ২ জনের ডায়রিয়া আক্রান্তে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, কয়েক দিন ধরে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর বেড সমস্যা, চিকিৎসা প্রদানসহ নানা বিষয়ে সংকট চলছে।
আপাতত ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী, পরিদর্শকরা সার্বক্ষণিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করছেন। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে তারা রিপোর্ট করবেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।