রি-এন্ট্রি পারমিটের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আবারো অবস্থান নিয়েছে কাতার প্রবাসীরা। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় তারা কাতার থেকে ছুটিতে দেশে আসেন।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সকালে হাজারের বেশি কাতারপ্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও কাতার আমিরের ছবি নিয়ে স্লোগান দেন, ‘আমাদের দাবি, আমরা কাতার যেতে চাই।‘
প্রবাসীরা বলছেন, মহামারীর কারণে দেশে আটকে পড়া কয়েক হাজার কর্মী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ কর্মীর আকামার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কাতারে ফিরতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার রি-এন্ট্রি পারমিটের আবেদন করলেও, তা গ্রহণ করা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রবাসী। কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের অবহেলাজনিত কারণে বিলম্ব হচ্ছে বলেও তাদের দাবি।
এদিকে, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গেইটের কাছে এসে প্রবাসীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। হ্যান্ড মাইকে তিনি জানান, যারা রি-এন্ট্রির জন্য আবেদন করেছেন, তাদের তালিকা কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেকটা কোম্পানিতে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। যেসব কোম্পানিতে কাজের সুযোগ আছে, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তা জানা যাবে। সে অনুযায়ী শ্রমিকদের কাতারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা কাতারে যেতে পারছেন, এমন অভিযোগের উত্তরে সচিব জানালেন, এই অভিযোগ সত্য নয়। এমন কথা বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের কর্মীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের কর্মীরাও নিজ নিজ দেশে আটকে আছেন, কেউ যেতে পারছেন না। প্রবাসী কর্মীদের ফেরত পাঠানোর সবরকম প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। সামনের সপ্তাহে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে নিশ্চিত খবর জানানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন সচিব।