পরীমনি পরীমনি পরীমনি…. আবারও আলোচানার শীর্ষে এই নাম। বিষয়-পরীর ঝা চকচকে জন্মদিন আর পোশাক। দেশের ছোট বড় অনেক ঘটনাই যেন আড়াল হয়ে গেছে সুপারস্টারের জন্মদিনে।
গেল রবিবার, রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে শুভাকাঙ্খীদের সাথে জন্মদিন উৎসবে পরী পরেছিলেন লাল সাদা বিমান বালার পোশাক। সাদায় শান্তি আর লালে বিজয়ের বার্তা দিয়েছিলেন পরী। আমন্ত্রণপত্রেও ছিল নিখাদ ভালবাসা নিয়ে কাছে আসের আহ্বান।

শুভাকাঙ্খী ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে পরী।
কিন্তু তা ছাপিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে পরীর পোশাকের শীল-অশ্লীলের মাপকাঠি নির্মাণে। বিপরীতে একটি প্রশ্নও উঠছে এসেছে। নারীর পোশাকের শীল-অশ্লীল আসলে কে নির্ধারণ করবে? অনেকেই একে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবেই দেখছেন?
সেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে মুর্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরী যেন এটাই জানান দেন, কারও কথাতেই কান দেয়ার নন তিনি। আগাতে চান, নিজের মেধা, শ্রম আর কাজকে সাথে নিয়েই।
পরীর জন্মদিন পার্টির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন কোটি মানুষ। সেই সাথে ছুঁড়ে দিয়েছেন মন্তব্য। পরীর পোশাক, পরীর আচরণ নিয়ে কটাক্ষ। এই মন্তব্যের বেশির ভাগই কুৎসিত। তবে প্রীতিলতার পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু মানুষ । তারা বলেন, নারীর ওপর গোটা সমাজের মনোভাব যেন নিগড়ে পরছে এই মন্তব্যে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অ্যাক্টিভিস্ট অপরাজিতা সংগীতা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘ আসলে আপনাদের মূল সমস্যা পরীমনির লুঙ্গির কাছাতে নয়, আপনাদের মূল সমস্যা পরিমনীর গাটস- এ। এই যে একটা মেয়ে কিছুই কেয়ার করতেছে না, এইটা আপনারা নিতে পারতেছেন না।’

সুবিধা বঞ্ছিত শিশুদের সাথে পরীমনি।
প্রতিবারের মতো এবারও পরী জন্মতিথির সারা দিনটা কাটিয়েছেন সুবিধাজঞ্চিত শিশুদের সাথে। তবে এই খবরে আগ্রহ নেই গণমাধ্যমসহ, সাধারণ মানুষেরও। নিন্দার দুনিয়ায় ঢাকা পড়ে গেছে, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো পরীর মানবিকগুণের খবর। এ দায়ও কি পরীকেই দিবে সমাজ?