fbpx

পরীমনির রিমান্ড বিষয়ে দুই বিচারকের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের যৌক্তিকতা নিয়ে নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে দুই বিচারককে এই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, মামলার নথিপত্রসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রিমান্ড মঞ্জুরকারী ঢাকার সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের কি উপাদানের ভিত্তিতে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন এর ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। আর সন্তোষজনক জবাব না পেলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।

একইসঙ্গে, রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নথিসহ (সিডি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য ওই দিনই ধার্য করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে স্বতঃপ্রণোদিত রুল চেয়ে গত রবিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় পরীমনির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র‍্যাব। এরপর তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

১৯ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ বিষয়ে জামিন আবেদন করেন পরীমনি। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন আদালত। পরদিন নির্ধারিত সময়ের আগে শুনানি চেয়ে আবেদন করেন পরীর আইনজীবী। এতে ফল না পেয়ে ২২ আগস্টের ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন এই অভিনেত্রী।

গতকাল ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির দিন রাখা হয়। পরীমনিকে আদালতে হাজির করা ও রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে সেদিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেওয়ার কথা বলেন।

হাইকোর্টে আবেদনের ভাষ্য, তিন দফায় সাত দিনের মধ্যে প্রথমে চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুই দিন ও তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সাধারণত গুরুতর প্রকৃতির অপরাধের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় রিমান্ডে নেওয়া হয়ে থাকে। জাতীয় নিরাপত্তা বা জনগুরুত্ব বিষয়ে গুরুতর মামলায় আদালতের এত দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিতে দেখা যায়। পরীমনিকে এত দিনের রিমান্ডে নেওয়া সংবিধানের চেতনা, মৌলিক অধিকার ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘন।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) চিত্রনায়িকা পরীমনির রিমান্ড বিষয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন হাইকোর্ট। শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে ওম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, ‘রিমান্ডের উপাদান ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা প্রার্থনা দিল, আপনি (ম্যাজিস্ট্রেট) মঞ্জুর করে দিলেন। এগুলো কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না। রিমান্ড অতি ব্যতিক্রমী বিষয়।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply