fbpx

পার্বত্য চুক্তির ২৩ বছর, ফোটেনি আজও শান্তির ফুল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আজ ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিরাজমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালের এই দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি করে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চুক্তির এত বছর পর শান্তি আসেনি পাহাড়ে। বন্ধ হয়নি রক্ত স্রোত। জনপদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর থামেনি নিপীড়ন।

চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্যজেলাগুলোর প্রশাসনিক ৩৩ বিভাগের মধ্যে ১৭টি বিভাগ জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেছে সরকার। তবে বন ও পরিবেশ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সাধারণ প্রশাসনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। এছাড়া অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো তাই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে ক্ষমতায়ন করে এসব সমস্যার সমাধান করে এখানে স্থানীয় শাসন প্রবর্তন চায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ।

সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের উন্নয়নের ফলে আগের চেয়ে পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে বা এখন নানা সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন পাহাড়িরা ।

প্রতি বছরই দিবসটি পালনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে নেয়া হয় নানা কর্মসূচি, এবার করোনার কারণে হচ্ছে না এর কিছুই ।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রেখে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষত হব।’

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৪তম বর্ষপূর্তিতে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ।

তবে এই শান্তি চুক্তি কি শুধুই নামেই? শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন এলেও, অবৈধ অস্ত্র, খুন, চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো পরিবর্তন নেই। এরই মধ্যে জনসংহতি সমিতির সাথেও স্থানীয় নেতাদের বেড়েছে দূরত্ব এমনটাই জানান বান্দরবান পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি আতিকুর রহমান ।

চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি বান্দরাবান জেএসএস সভাপতি উছোমং মারমার।

তিনি বলেন, বাঙালি এবং পাহাড়িদের প্রত্যাশা ছিল এই চুক্তির সবগুলো ধারারই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে । তবে এই সকল বিষয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীও জানান তিনি ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply