fbpx

পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে ডাকাতি করতো তারা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় ধরে পুলিশের ইউনিফর্মে ডাকাতি করছে একটি চক্র। পুলিশের ইউনিফর্ম, পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি, পুলিশ জ্যাকেট, পুলিশ বেল্ট ও পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে সড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করতো তারা। লুটে নিত টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও দামি জিনিসপত্র।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে আজ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাভারের রাজাশন এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় এই বাহিনীর ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪।

র‍্যাবের অভিযানে একটি পিস্তল, রাউন্ড গুলি, একটি নকল পিস্তল, একটি পিস্তল টাইপ লাইটার, একটি কভারসহ হ্যান্ডকাফ, একটি ওয়াকিটকি, ২সেট পুলিশ ইউনিফর্ম, পুলিশ জ্যাকেট, পুলিশ বেল্ট, ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, ২টি রামদা, একটি ডেগার, একটি চাপাতি, ২টি ছুড়ি, ২টি টর্চলাইট, ২টি রশি, ৪৬৭ পিস ইয়াবা, ৩০ বোতল ফেনসিডিল, দেড় কেজি গাঁজা, ৭ গ্রাম হেরোইন, ৫ লিটার চোলাই মদ, ১৯টি মোবাইল এবং নগদ ৪৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

২৯ অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

তিনি জানান, গ্রেফতার শামীম রেজা কিশোর বয়স থেকেই অপরাধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত।রাজশাহীর একটি স্কুলে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে।

২০০৫ সালে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসে। পরে সে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি নেয়। এক পর্যায়ে রেজা  মাদক কারবারিদের সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে পর্যায়ক্রমে তার নেতৃত্বে একটি ডাকাত বাহিনী গড়ে তুলে।

তিনি আরও জানান, সংঘবন্ধ ডাকাত চক্রটি রাতের আধারে পুলিশের ভুয়া ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় টর্চ লাইট দিয়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ অলংকার, মোবাইল এবং দামি জিনিসপত্র তার বাহিনীর সদস্যদেরকে নিয়ে লুটপাট করত।

মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে  শামীম জানায় তাঁর নামে বর্তমানে ২৫-৩০টি অটোরিকশা ও সিএনজি আছে। অস্ত্র, মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামিও তিনি। সে নিজেকে আমিনুল হক নামে পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) পরিচয় দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, নকল আগ্নেয়াস্ত্র, নকল আইডি কার্ড, ইউনিফর্ম, ওয়াকি টকি সেট ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করতো। সাভার এলাকায় সক্রিয় ডাকাত চক্রের পাশাপাশি ও মাদকের হাব নিয়ন্ত্রণ করতো। এছাড়া শামীমসহ গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply