ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে দেশের খুচরা ও পাইকারি বাজারে। উভয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে হু হু করে। বিশেষ করে খুচরা বাজারে এর বেশি প্রভাব পড়েছে। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি দাম সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ও পাইকারিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুই রাতের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় উঠেছে। বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলত খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, ‘আমদানি বন্ধ হওয়ার একটি সংবাদ শুনেছি। এদিকে দেশীয় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ ধরে রাখছেন। এ কারণে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেজিতে ছয় টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে পেঁয়াজের সংকট নেই। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত দাম স্বাভাবিক হবে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-উর-রসিদ বলেন, ‘আমদানির মেয়াদ গত ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ার পর তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপরে নতুন করে আর পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আমরা এখন অনুমোদন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছি। যেহেতু সরকার থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু জানানো হয়নি, সুতরাং দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার আশা আছে। তখন বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
দেশীয় ফলন দিয়েই মূলত বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটানো হয়। ২০২০–২১ অর্থবছরে দেশে ২২ লাখ ৬৪ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এটি চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ করে। বাকি ২০ শতাংশ চাহিদা মেটানো হয় আমদানি করা পেঁয়াজ দিয়ে।