fbpx

প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হ্যারি কেইনের অতিরিক্ত সময়ের গোলে ২-১ গোলে ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে কেইনের পাশাপাশি আরেক গোল আসে আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে। ডেনমার্কের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন মাইকেল ড্যামসগার্ড।

ম্যাচের প্রথম সত্যিকারের সুযোগ তৈরি করতে সময় লাগে ১৩ মিনিট। গোলের সুযোগ আসে ইংল্যান্ডের সামনে। ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইনের পাস থেকে মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে কাট করে ভেতরে ঢুকে শট নেন রাহিম স্টার্লিং। সেই শট ঠেকিয়ে দেন ডেনিশ গোলকিপার ক্যাস্পার স্মাইকেল। তিন মিনিট পর সুযোগ পায় ডেনমার্ক। হুবিয়ারের শট ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ গোলকিপার জর্দান পিকফোর্ড।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে লিড নেওয়ার সুযোগ পায় ডেনমার্ক। ডি বক্সের ভেতর থেকে ড্যামসগার্ডের শট চলে যায় বারের সামান্য বাইরে দিয়ে। মিনিট দুয়েক পর ইংল্যান্ডের হয়ে দারুন এক রেকর্ড গড়লেন গোলকিপার পিকফোর্ড। ১৯৬৬ সালে গর্ডন ব্যাংকসের ৭২০ মিনিট গোল না খাওয়ার রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নেন এই এভারটন গোলকিপার। তবে মিনিট তিনেক পর অবশেষে গোল খান পিকফোর্ড, ফলে চলতি ইউরোতে প্রথমবারের মতো গোল খেলেন তিনি। গোলদাতা সেই ড্যামসগার্ড। ফ্রিকিক থেকে ৩০ মিনিটে গোল করেন তিনি, সঙ্গে সঙ্গে চলতি ইউরোর প্রথম ফ্রিকিক গোলদাতা বনে গেলেন। ফলাফল ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে এগিয়ে গেল ডেনমার্ক।

লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ডেনিশরা। সাকা ক্রস বাড়ালেন, উদ্দেশ্য রাহিম স্টার্লিং। স্লাইড করে সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালে জড়িয়ে দেন ডেনিশ অধিনায়ক সাইমন কায়ের। ফলে চলতি ইউরোতে আত্মঘাতী গোলের সংখ্যা হয়ে গেল ১১। অর্থাৎ আত্মঘাতী গোলদাতাদের নিয়ে করা যাবে একটা পাক্কা একাদশ। তবে সমতায় ফেরানোর সুযোগ আরো দুই মিনিট আগেই পেয়েছিল ইংল্যান্ড, রাহিম স্টার্লিংয়ের শট ঠেকিয়ে দেন ডেনিশ লাস্টম্যান স্মাইকেল। শেষ পর্যন্ত সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।

বিরতি থেকে ফিরে ৫০মিনিটে দারুন দক্ষতায় ডোবার্গকে গোলবঞ্চিত করেন জর্দান পিকফোর্ড। পাঁচ মিনিট পর নিজের খেল দেখান ডেনিশ কিপার ক্যাস্পার স্মাইকেল। ম্যাসন মাউন্টের ক্রসে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান লেস্টার সিটি গোলকিপার। তিন মিনিট পর আবার ডোলবার্গ, আবার পিকফোর্ড । মার্টিন ব্র্যাথওয়েটের পাস থেকে ডোলবার্গের বাঁ পায়ের দুরন্ত শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। সেই কাউন্টারে গোল পেতে পারতো ইংল্যান্ড। লুক শয়ের ক্রস ডেনিশ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জড়িয়ে যেতে পারতো জালে, অল্পের জন্য যেটা চলে যায় বারের বাইরে দিয়ে।
.
দুদল ম্যাচের বাকিটা সময় ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছে । ডেনমার্কের নজর ছিল রক্ষণ সামলে তারপর আক্রমণে যাওয়ার। আর ইংল্যান্ড আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ডেনিশ ডিফেন্সকে তটস্থ রেখেছে। তবে কাজের কাজটা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হ্যারি কেইন। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় ইংল্যান্ডকে নিয়ে যায় প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply