লেখিকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন প্রিয়াংকা চোপড়া। ‘আনফিনিসড’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে তার। আত্মজীবনী ‘আনফিনিশড’ এ নিজের সংগ্রাম ও প্রতিকূলতা পেরোনোর গল্প বলেছেন তিনি।
বলিউডের বাইরেও বিশ্ব সিনেমায় প্রিয়াংকা চোপড়ার প্রভাব অনেক। এখন তিনি বলিউড থেকে হলিউডেই বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে তিনি লন্ডনে একটি সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত। অথচ এই মেধাবী এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রীকেই এক সময় সার্জারি করার কারণে সাইন করা সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিলো।
খুব সাধারণ একটি জীবন থেকে ২০০০ সালে ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগীতায় জয়ী হওয়ার কারণে প্রিয়াংকা চোপড়া রাতারাতি তারকা বনে যান এবং জমকালো জীবনে পদার্পন করেন। ঐ বছরই তিনি ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগীতায় অংশ নেন এবং জয়ী হন। এরপরই তিনি একসাথে চারটি সিনেমা সাইন করেন। কিন্তু সার্জারি করার পর তাকে দুটি সিনেমা থেকে বাদ দেয়া হয়।
তামিল সিনেমা ‘থমিযান’(২০০২) সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা তিনি বর্ণনা করেছেন। এই সিনেমায় কাজ করা টিমকে তিনি পারফেক্ট টিম বলেছেন। এমনকি এই টিম থেকে তিনি সম্মান পেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বইয়ে। এটা এমন একটা সময় ছিল যখন প্রিয়াংকাকে সার্জারির জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ‘থমিযান’ সিনেমার সেটে তিনি কোনো রকম আপত্তিকর মন্তব্য অথবা ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এমনকি তার লুক নিয়ে কোনো কথাই হয়নি সেটে। বরং প্রিয়াংকার আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও তাঁরা সাহায্য করেন।
অন্য একটি তামিল সেটে তাকে ‘এলিয়েন’ বলেও সম্বোধন করা হয়েছে।
প্রিয়াংকা তার প্রথম কো-স্টার ‘বিজয়’ কে নিয়েও এই বইয়ে কথা বলেছেন। তিনি বিজয়কে ‘প্রতিভাবান এবং অমায়িক’ অভিনেতা বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিজয়ের নম্রতা এবং মহত্বের জন্যই দর্শক আমার প্রতি পজিটিভ ধারণা করে।‘
নিজের জীবনযুদ্ধসহ আরো নানা বিষয় প্রিয়াংকা এই বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করেন। আজকের এই অবস্থান যে এত সহজ ছিল না সেটাই তিনি বারবার বইয়ে তুলে এনেছেন। যুদ্ধ করেই তিনি এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী এমনকি হলিউডও তাঁকে গ্রহণ করেছে সাদরে।