পুরো নাম জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র। তবে জো বাইডেন হিসেবেই তিনি পরিচিত।
জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর, পেনসিলভানিয়ার স্ক্রানটনে। বাবা জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র ও মা ক্যাথরিন ইউজেনিয়া ফিনেগান।
যুক্তরাষ্ট্র্রের ডেলাওয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন তিনি। পরে আইনে ডিগ্রি নেন সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটি থেকে।
১৯৬১ সালের দিকে ধীরে ধীরে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেন বাইডেন। সেই সূত্রেই পরিচয় নেইলিয়া হান্টারের সাথে। সেখান থেকেই প্রেম-বিয়ে। তাদের ঘরে জন্ম নেন দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
তবে বিয়ের ছয় বছরের মাথায়, ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান নিলিয়া ও মেয়ে নাওমি বাইডেন।
তিন বছর বাদে ভালোবেসে আবার ঘর বাধেন জিল জ্যাকবসের সাথে। তাঁদের ঘরে রয়েছে অ্যাশলে ব্লেজার নামে এক মেয়ে।
১৯৭০ সালে ডেলাওয়ারের নিউ ক্যাসল কাউন্টির কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হন জো বাইডেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী পঞ্চম সিনেটর নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এর মধ্যেই, ১৯৮৭ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেনশিয়াল প্রাইমারিতে লড়ার ঘোষণা দেন বাইডেন। তবে অসুস্থতার কারণে পরের বছর এই লড়াইয়ে পিছু হটেন।
২০০৭ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় প্রাইমারিতে নামেন। এ যাত্রায় তিনি বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি। এরপর, ২০০৮ সালে ওবামা তাঁকে রানিংমেট হিসেবে বেছে নেন। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল এক ভিডিওবার্তায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রাইমারিতে লড়াইয়ের আভাস দেন। দলীয় প্রাইমারিতে সিনেটর কমলা হ্যারিস, পেটি বুটেগিগদেরমত নেতাদের পেছনে ফেলে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন বাইডেন।
গেল বছর ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে, ৩০৬টি ইলেক্ট্ররাল ভোট পেয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দেন ৭৮ বছর বয়সী এই নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন জন জো বাইডেন।