fbpx

ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে রাজধানীর ৪ কেন্দ্রে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সোমবার রাতে দেশে আসা ফাইজারের ১ লাখ ৬০০ ডোজ টিকা আপাতত দেওয়া হবে রাজধানীতে। ৩১ মে রাত সোয়া ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ টিকার চালান পৌঁছায়। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘কোভ্যাক্স’ থেকে আসা এটিই প্রথম চালান।

রাজধানীর চারটি কেন্দ্রে ফাইজারের এ টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তাব করেছে। আর কেন্দ্রগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, যারা এই টিকার নিবন্ধন ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসের মাধ্যমে করবেন, তাদেরকেই এ টিকা দেওয়া হবে।

ফাইজারের টিকার দু’টো করে ডোজ দেওয়া হবে। যার প্রতি ডোজে শূন্য দশমিক ৩ এমএল সমপরিমাণ থাকবে এবং তা ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা হবে। আর কোনোভাবেই আলো ও তাপের সংস্পর্শে রাখা যাবে না এই টিকা। এটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন অর্থাৎ বাহুর উপরের মাংসপেশিতে প্রয়োগ করতে হবে। সঠিকভাবে টিকা দিতে শূন্য দশমিক ৩ এমএল এডি সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, ফাইজারের টিকা যেহেতু জমানো, জীবাণুমুক্ত, প্রিজারভেটিভ এবং এডজুভেন্ট মুক্ত, মাল্টি-ডোজ কন্সেট্রেট অর্থাৎ ঘনীভূত তাই মানবদেহে প্রয়োগের আগে অবশ্যই সংমিশ্রণ করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে এক ভায়ালের সাথে ডাইলুয়েট মিশ্রণের পর ৬ ডোজ টিকা প্রস্তুত হবে। আর সংমিশ্রণের জন্য দুই এমএলের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।

ফাইজারের টিকা গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদেরকে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, যাদের এলার্জি প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস (অ্যানাফাউল্যাক্সিস) আছে, বা প্রথম ডোজ দেওয়ার পরে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাদেরকে আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। আর কারও শরীরে যদি জ্বর অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি থাকে আর করোনা রোগের লক্ষণ থাকে, তবে সেক্ষেত্রে রোগীর সেরে না ওঠা পর্যন্ত এ টিকা দেওয়া যাবে না। এছাড়া, অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিকেও এ টিকা দেওয়া যাবে না।

Advertisement
Share.

Leave A Reply