fbpx

ফাইজারের টিকা পেতে প্রবাসীদের বিক্ষোভ!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গতমাসে প্রবাসী কর্মীদের দাবির মুখে ফাইজার ও মর্ডানার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ১লা জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১৪ হাজার বিদেশগামী নিবন্ধন করেন। ১লা জুলাই থেকে রাজধানীতে সাতটি কেন্দ্রে শুরু হয় ফাইজারের টিকাদান কর্মসূচি।

ফাইজারের টিকার জন্য নিশ্চিত ম্যাসেজ পাওয়ার পর, ১৪ জুলাই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে আসেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশো টিকাপ্রার্থী। বুধবার সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে টিকাদান কার্যক্রম চললেও দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ফাইজারের মজুদ শেষ, আর কেউ টিকা পাবে না।

এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদেশগামী কর্মীরা। তাদের মধ্যে সৌদি আরব ও কুয়েতগামী প্রবাসীর বলেন, অনেক টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে সবাই ঢাকা এসেছেন। তাদের ভিসার মেয়াদও প্রায় শেষের দিকে। তারচেয়ে বড় বিপদ হলো, একদিকে ফাইজারের টিকা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, অন্যদিকে মডার্নার টিকা অথবা একেবারেই টিকা ছাড়া গেলে থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে। যাতে খরচ বাড়বে কয়েকগুণ।

টিকার জন্য অপেক্ষমানদের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান।

সৌদিগামীদের ফাইজারের টিকাই নিতে হবে, এমন বিধিনিষেধকে উড়িয়ে দিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, “আমাদের কাছে থাকা ফাইজারের টিকার স্টক শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তী চালান না আসা পর্যন্ত আমরা টিকা দিতে পারবো না। এখন ফাইজার, মর্ডানা সব টিকাই সবদেশ গ্রহণ করে। আমরা প্রবাসীদেরকে মর্ডানার টিকা দেওয়ার কথা বলেছি। মর্ডানার যথেষ্ট মজুদ আছে। কিন্তু তাদেরকে বোঝানোর পরেও তারা ফাইজারের টিকা ছাড়া অন্য টিকা নিতে রাজি না।’

প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতার পাওয়া যায় নি, এমনকি অনেকের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিদেশগামী টিকাপ্রার্থীরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply