fbpx

ফের সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ফলে সিরিজে এখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টাইগাররা। প্রথমবারের টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।

৯৪ রানের ছোট লক্ষ্য, ছোট লক্ষ্যেও শুরুতেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। মাত্র ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচশেষে লিটন দাশ জানিয়েছিলেন বাউন্ডারি নয়, সিঙ্গেলসেই তাদের প্রধান মনোযোগ। তবে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ যে তিন উইকেট হারিয়েছে তার সবগুলোই বড় শট খেলতে গিয়ে।

আগের ম্যাচে প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছিলেন লিটন, এ ম্যাচেও সেই প্যাডল সুইপ করতে গিয়েই আউট হয়েছেন। তবে এবার আর এলবিডব্লিউ না, কোলে ম্যাককনকির বলে ডিপ মিড উইকেটে ফিন অ্যালেনের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়েছেন। যদিও তার আগের বলেই বাউন্ডারি পেয়েছিলেন, অর্থাৎ কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকলো কই?

আগের ম্যাচে ০ রানে ফিরেছিলেন সাকিব, দ্বিতীয় বলে ৪ মেরে বড় ইনিংসের আভাসও দিয়েছিলেন। তবে ৮ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন, আজাজ প্যাটেলের বলে। আগের ম্যাচে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েছিলেন, এ ম্যাচেও ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন। তবে এবার বলের লেন্থ পড়তে না পারায় স্ট্যাম্পিং হয়েছেন।

দুই বল আগে আউট হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, পাওয়ার প্লের শেষ বলে অহেতুক সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড মুশফিকুর রহিম। পাওয়ারপ্লেতে ৩২ রান তুলতেই টাইগারদের নেই ৩ উইকেট। এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সঙ্গী নাইম শেখ। দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন একদিকে, অন্যদিকে আস্কিং রেটটাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। তবে কখনোই তা ছয়ের উপরে যায়নি।

১৫ তম ওভারে ভুল বুঝাবুঝির শিকারে রান আউট হন নাইম শেখ, দলের রান তখন ৬৭। ৩৫ বলে নাইমের রান তখন ২৯। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৭৪ রান, আজাজ প্যাটেলের বলে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে স্ট্যাম্পিং করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। সেই উইকেট নিতে পারলে তাদের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও হয়তো বেঁচে থাকতো। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই নাসুম আহমেদের বলে শর্ট ফাইন লেগে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাচীন রবীন্দ্র। ওটাই মূলত কিউই ইনিংসের প্রতিকী চিত্র। পুরো ইনিংসেই নড়বড়ে ছিলেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। নাসুম আহমেদ একাই ধসিয়ে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডকে। কিউইদের প্রথম পাঁচ উইকেটের ৪টি নিয়েছেন নাসুম, ৪ ওভারের স্পেলে ২ মেডেনে মাত্র ১০ রানে তার শিকার ৪ উইকেট।

লেজ মুড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তারও শিকার ৪টি উইকেট। ৩.৩ ওভারে ১২ রানে মুস্তাফিজের শিকার ৪ উইকেট। কিউইদের টপ পারফর্মার উইল ইয়ং, ৫ চার এবং ১ ছয়ে ৪৮ বলে তার সংগ্রহ ৪৬ রান। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৯৩ রানে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply