বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে নাগরিক শোকসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জাকে। এ নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে প্রায় ২০ মিনিট ক্ষোভ ঝাড়লেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা।
রবিবার বিকেল তিনটায় বিএনপির প্রয়াত নেতা মওদুদ আহমদ স্মরণে নাগরিক শোকসভার আয়োজন করেন কাদের মির্জা। শোকসভার নির্ধারিত সময়ের দু’ঘন্টা আগে বেলা একটার দিকে কাদের মির্জাকে শোকসভা করতে নিষেধ করে পুলিশ। নিষেধ করার পরপরই ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশ প্রসাশন ও বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করেন বক্তব্য দেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে আমাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য ও আমার মুখ বন্ধ করার জন্য এ প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না, আমি জানি। যাঁরা এ নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা একদিন এ ধরনের নির্দেশে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবেন, অপেক্ষা করেন।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক জানান, প্রতিদিনই কোন না কোন কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেন আবদুল কাদের মির্জা। তাই শান্ত পরিবেশ আবারও যেনো অশান্ত না হয়ে যায়, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে শোকসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বড় ভাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমাদের এক নেতা বলেছেন, কেউ যদি অধম হয়, আমরা কেন উত্তম হইব না। এই বক্তব্য তাঁর নিজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আজকে আমাকে খাটো করার জন্য দলের উচ্চপর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে নানা ষড়যন্ত্র–চক্রান্ত চলছে। স্মরণ রাখবেন, অপমান ফেরত যায়।‘