fbpx

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ফাইনাল চলছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা প্রকোপের কারণে বিপিএল আয়োজনের সাহস করেনি বিসিবি। তবে, ক্রিকেটারদের খেলার মধ্যে রাখতে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে ৫ দলের টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। বিপিএল হয়নি, তবে যার কিছু নেই তার যা আছে তাতেই সুখ খুঁজে নিতে হয়। তাই ছোট পরিসরের টুর্নামেন্ট হলেও কোচ-ক্রিকেটার-ম্যানেজমেন্ট সবাই ছিলেন সিরিয়াস, কেউ সফল হয়েছেন আবার কেউ ব্যর্থ।

এক ম্যাচ- দুই ম্যাচ করে গেল ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে টিকে আছে কেবল দুটো দল, জেমকন খুলনা এবং গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। যাদের মধ্যে এক দল উঁচিয়ে ধরবে শিরোপা আর অন্যদল টাচলাইনের সামনে দাঁড়িয়ে পুড়বে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায়। শুক্রবার ফাইনাল, মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিকেল সাড়ে চারটা। মাঠে যেহেতু দর্শক প্রবেশের অনুমতি নেই, তাই নিশ্চিত যে আপনার চোখ থাকবে টিভি পর্দায়, শুধু খুলনা, চট্টগ্রাম নয়, দুই দলের বাইশ ক্রিকেটারও ছড়াবে রোমাঞ্চ, আপনার বাজি কে?

লিটন দাস, এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ৯ ম্যাচে পঞ্চাশের উপরে গড়ে তার ৩৭০ রান আপনাকে রোমাঞ্চিত করবে ঠিকই, তবে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইকরেট ১২০-এর আশপাশে, মোটেও টি-টোয়েন্টি সূলভ নয়, তাই আশার সাথে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কপালে পড়তে পারে চিন্তার ভাঁজও।

ওপেনিংয়ে চট্টগ্রামের বাজির ঘোড়া যেখানে হতে পারেন লিটন, সেখানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ভরসার হাত রাখতে পারেন জহুরুল ইসলামের উপর। প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাশরাফি বিন মর্তুজার আলোয় মলিন হয়েছে তার ৮০ রানের ইনিংস। তবে, জহুরুলের এমন পারফরম্যান্স ম্যাচ জয়ে কতোটা ভূমিকা রাখতে পারে সেটা বুঝতে নিশ্চয়ই রকেট সাইন্স জানার প্রয়োজন পড়বে না।

ফাইনালের আগে সাকিবকে হারানো খুলনার জন্য বড় ধাক্কা, ব্যাট অধিনায়ক রিয়াদ তাই দলের বড় ভরসা। এই টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যান গড়পরতা, তবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে এই ক্রিকেটারকে নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে। দল হিসেবে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিল চট্টগ্রাম, অধিনায়কত্বে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মোহাম্মদ মিথুনও। তবে, ব্যাট হাতে মিথুন ছিলেন প্রায় ব্যর্থ, ৮ ইনিংসে রান করেছেন ১৬৪, স্ট্রাইক রেট ১১৫ এর নিচে। লিটন-সৌম্য দ্রুত ফিরে গেলে সেই চাপ কতোটা সামলাতে পারবেন অধিনায়ক, পরিস্থিতি চট্টগ্রামের প্রতিকূলে থাকলে উত্তর হয়তো মিলবে ম্যাচেই।

বল হাতে খুলনার ভরসা মাশরাফী, শহিদুল, হাসান মাহমুদ, চট্টগ্রামের ট্রামকার্ড মোস্তাফিজুর রহমান আর শরিফুল ইসলাম। মিরপুরের মাঠে বোলারদের লড়াইটাও হবে দেখার মতো।

বিখ্যাত ক্রিকেট সাহিত্যিক নেভিল কার্ডাস বলেছিলেন, পরিসংখ্যান আস্ত গাধা। দিনশেষে আসলেই তাই! এতো বিশ্লেষণ, এতো কথা , এতো আশা, কিন্তু মাঠের খেলায় হয়তো নায়ক বনে যাবেন অন্য কেউ, আপনিও চোখ রাখুন মিরপুরে, যদি-কিন্তুর হিসেব শেষে দেখতে পাবেন গল্পের শেষ নায়ককে, আর শেষ ভালো তো সব ভালো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply