fbpx

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ৩ দেশে করিডোর তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত এশীয় হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের জন্য আন্তঃদেশীয় নির্বিঘ্ন চলাচলের পথ বা করিডোর তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনাধীন ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন করিডোর’ হাতি ও বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এজন্য ভারত হতে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালং, সাঙ্গু হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত এশীয় হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের জন্য আন্তঃদেশীয় নির্বিঘ্ন চলাচলের পথ বা করিডোর তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অভ ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াইল্ডলাইফ করিডোর ইন চট্টগ্রাম, চিটাগাং হিলট্রাক্টস এন্ড কক্সবাজার উইথ মিয়ানমার এন্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ‘ন্যাশনাল রেজাল্ট শেয়ারিং এন্ড কনসালটেশন ওয়ার্কশপ’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে এই তিন দেশের হাতি ও বাঘের খণ্ডিত আবাসস্থলগুলোর  ভিতর সংযোগ স্থাপিত হবে। যেটি এই প্রাণী দু’টির প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং একইসাথে এই অঞ্চলের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।‘

বনমন্ত্রী বলেন, বনভূমির অভ্যন্তরে বসতি স্থাপন, বনভূমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বনভূমি সংকুচিত হচ্ছে। একই সাথে বন্যপ্রাণী হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল ও চারণভূমি। ফলশ্রুতিতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে মানুষ ও বন্যপ্রাণী উভয়ই প্রাণ হারাচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএন) এর ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এশীয় হাতির সংখ্যা সর্বমোট প্রায় ২৬৮টি এবং ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বমোট বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা প্রায় ১১৪টি। দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিগুলো বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply