নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে জারি করা ১৪৪ ধারার সময় পার হয়েছে গতকাল বুধবার রাত ১২টায়। কিন্তু, নতুন করে সেখানে যেন আর কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহষ্পতিবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে বসুরহাটের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা।
সূত্র আরো জানায়, বসুরহাটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে ১০০ জন করে পর্যায়ক্রমে ৩০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০০ পুলিশ সদস্যকে আনা হয়েছে রাঙামাটি থেকে। পাশাপাশি, ১৬ জন র্যাব সদস্যকেও মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সাথে সেখানে রয়েছেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বসুরহাট জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আপাতত সেখানে আর ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে না। প্রশাসন এরইমধ্যে সেখানে কঠোর অবস্থানে থাকার কারণে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলাও দেখা যায়নি। তবে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে কোন সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানায় জেলা প্রশাসক কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও র্যাব টহল দিলেও আতঙ্ক কাটছে না ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের মধ্যে। তবে, সকাল ১০টা নাগাদ আজ কিছু দোকান-পাট খুলেছে ব্যবসায়ীরা। গত দু্ই মাস ধরে বসুরহাটে রাজনৈতিক নানা কর্মসূচির কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হওয়ায় বাজারে লোকজনের স্বাভাবিক উপস্থিতি কমে গেছে বলে জানা যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ায়। এদের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশসহ অর্ধশত লোক। আর নিহত হয়েছেন আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের এই গোলাগুলি চলে।