fbpx

বাংলাদেশের প্রশংসায় ডিক্যাপ্রিওর টুইট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন এলাকাকে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসায় ভাসছেন হলিউড তারকা লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও।

শুক্রবার নিজের টুইটার একাউন্টে এক টুইটে তিনি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ডিক্যাপ্রিও লিখেছেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ঘিরে নতুন সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করায় বাংলাদেশ সরকার,  স্থানীয় মানুষ এবং এনজিওগুলো অভিনন্দন। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।‘

টাইটানিকে জ্যাকখ্যাত ৪৭ বছর বয়সী ডিক্যাপ্রিও এরই মধ্যে নিজেকে পরিবেশবাদী হিসেবে পরিচতি। পরিবেশ রক্ষায় তিনি বেশ সোচ্চারও।

বাংলাদেশ সরকার এর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলাধীন বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ৪ জানুয়ারি ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করে। এ মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়াটি এখন পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ এবং দ্বিতীয় মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া।

‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণার ফলে বৈশ্বিকভাবে হুমকির সম্মুখীন গোলাপি ডলফিন, হাঙ্গর, রে মাছ, সামুদ্রিক কাছিম, সামুদ্রিক পাখি, প্রবাল, সামুদ্রিক ঘাস এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও এদের আবাসস্থল সংরক্ষণ; সামুদ্রিক মাৎস্য সম্পদের টেকসই আহরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকার মানোন্নয়ন; জাতীয় সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধকরণ এবং বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে ৮ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। এখানে মোট ৯ টি গ্রাম ও প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা আছেন।

সেখানে গ্রাম আছে সব মিলিয়ে নয়টি। স্থায়ী বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র। দ্বীপটিতে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণী একসময় বসবাস করতো। কিন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব প্রজাতির অনেকগুলো প্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply