fbpx

বাংলার কারিগুরুদের স্মরণে বিলেতে ‘ব্রিটিশ কারি ডে’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ থেকে ৬০ আর ৭০ দশকের দিকে বিদেশে যাওয়া প্রতিভাবান একঝাঁক মানুষের হাত ধরে গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ কুলিনারি শিল্প। আর তাদের হাতেই তৈরি হয়েছে সুস্বাদু খাবার কারি। সবসময় পর্দার আড়লে থাকা এই বাংলাদেশি কারি-গুরুদের সাফল্য উদযাপন ও তাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) উদযাপিত হচ্ছে ব্রিটিশ কারি ডে।

সাম্প্রতিক ব্রিটেনের জাতীয় খাবার হচ্ছে ‘চিকেন টিক্কা মাসালা’। যা এখন আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়। তবে আশ্চর্য হলেও সত্য,এই খাবারের উদ্ভাবক কিন্ত ব্রিটিশরা নয়। বাঙালিদের হাত ধরে ব্রিটেনে এর সূত্রপাত।

ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ক্যাটারারস অ্যাসোসিয়েশন, দ্য গিল্ড অব বাংলাদেশি রেস্টুরেস্টস এবং স্পাইস বিজনেস ম্যাগাজিনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে কারি-দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে রেস্টুরেন্টগুলো এদিন তাদের সেরা ডিশটি তৈরি করছেন এবং সেগুলো বিভিন্ন হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্কুলের শিশু ও কোভিড মোকাবেলায় নিবেদিত প্রাণ স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

চলতি বছর ব্রিটিশ কারি ডে’র প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘ব্যাক দ্য ভাজি’। যেখানে পরিবেশিত খাবারের মাধ্যমে এ রন্ধন শিল্পের সূচনাকারীদের স্মরণ করা হবে। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ কুলিনারি শিল্পের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য তুলে ধরতে এখন থেকে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর ‘ব্রিটিশ কারি ডে’ হিসেবে এ দিবসটি পালিত হবে।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের জনক এবং স্পাইস বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রকাশক জনাব এনাম আলি এমবিই বলেন, দুঃখজনকভাবে প্রথম প্রজন্মের কারি-গুরুদের অনেকেই আমাদের ছেড়ে গেছেন। তাছাড়া, মহামারীর প্রেক্ষিতে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন আরো অনেকেই। তাদের অদম্য মনোবল আর অমানুষিক পরিশ্রমের সুবাদেই তারা আজকের এই সুবিশাল শিল্পকাঠামো গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। তাই বলতে চাই এ দিনটি উদযাপিত হোক আনন্দের সঙ্গেই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply