সিনেমার রঙিন পর্দা যতটা রঙিন বলে মনে হয়, এখানে যারা কাজ করেন সবার জীবন বাস্তবেও এতটা রঙ্গিন, এটা ভাবার কোন কারণ নেই। সিনেমার মানুষ ভুলু বারীর জীবনের গল্প যেনো সেই ধূসর বাস্তবতারই দৃষ্টান্ত।
করোনার আঘাত ভুলুর মত অভিনেত্রীদের জীবনেও ডেকে এনেছে দুর্যোগ। অপরের সাহায্য ছাড়া দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিবিএস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভুলু বারী বলেন, ‘এই দিন কতদিন থাকবে তা তো জানি না। কীভাবে চলব তাও জানিনা। কেউ কেউ সাহায্য করছেন তা দিয়েই চলছে দিন।’
নয় বছর বয়সে প্রথম ‘ডাকবাবু’ সিনেমায় নাচের শিল্পী হিসেবে ডাক পান ভুলু বারী। এরপর অসংখ্য সিনেমায় কাজ করেছেন নিয়মিত শিল্পী হিসেবে। লকডাউনে সবরকমের কাজ হারিয়ে এফডিসির প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে কোনওরকমে জীবন চালাচ্ছেন ভুলু।
বাংলা প্রথম সবাক সিনেমা ‘মুখ ও মুখোশ’ এর নায়িকা বিলকিস বারীর জীবন যেমন শেষদিকে চলেছে ধুঁকে ধূঁকে, তেমনি তাঁর মেয়ে ভুলু বারীও খুব বেশি ভাল নেই। ঢাকা শহরে নেই আশ্রয়। বেশিকিছু না, সরকারের কাছে চান একটু মাথা গোজার ঠাঁই।