fbpx

বাগান বিলাসী বিটিভির সাবেক পরিচালক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কুমিল্লার শুভপুরের হাসান ফিরোজের ছাদ বাগান একটা বনসাইয়ের জাদুঘর। কী নেই সেই ছাদ জাদুঘরে? বট, অশ্বত্থ, চন্দন, অর্জুন, ঝাউ, এডোনিয়াম, কামিনি, বকুল, এক ছাদেই ছায়া দিচ্ছে প্রায় আড়াই’শো বনসাই। ২০ বছর বয়সী দুর্লভ শিমুল, দু:সাধ্য কৃষ্ণচূড়ার বনসাইও আছে কুমিল্লার শুভপুরের বৃক্ষপ্রেমী হাসান ফিরোজের ছাদ বাগানে।

১৯৮৬ সাল থেকে একটু একটু করে পুরো ছাদ গুছিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক হাসান ফিরোজ। শখের বসে শুরু করেন বনসাই সংগ্রহ। পরে নিজেই বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বনসাই তৈরি শুরু করেন। কবরস্থান, বাড়ির দেয়াল কিংবা রাস্তার পাশ থেকে তুলে আনা চারা দিয়েই তৈরি করেছেন অসংখ্য বনসাই।

বিবিএস বাংলাকে হাসান ফিরোজ বলেন, ‘প্রতিটি বনসাইকে আলাদা আলাদা শৈল্পিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গাছের বয়স ধরে রেখে তাতে রূপ দিয়েছি আরবি হরফের ক্যালিওগ্রাফি, জীবজন্তুর আকৃতি কিংবা মানুষের প্রতিকৃতি। আমার বয়সে একটি পূর্ণাঙ্গ বনসাই দেখতে পারি বা না পারি এই শৈল্পিক রূপের বনসাইগুলো আমাকে পূর্ণ বনসাইয়ের স্বাদ দিয়েছে।’

৩৬ বছরের এই বিশাল সংগ্রহের পেছনে ব্যয় করেছেন সময়, শ্রম ও অর্থ। আনন্দ নিয়ে বাঁচতে শেখা হাসান ফিরোজের অবসর কাটে বনসাইয়ের রক্ষণাবেক্ষণ ঘিরে। বাগানই এখন তার মানসিক প্রশান্তির খোরাক।

বনসাইয়ের বিশাল সংগ্রহ নিয়ে চট্টগ্রামে দুইবার একক প্রদর্শনীতে অংশ নেন হাসান ফিরোজ। তার অবর্তমানে নতুন প্রজন্ম বনসাইয়ের এই সংগ্রহশালার দায়িত্ব নিবে এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে দেশ বিদেশে বনসাইয়ের সৌন্দর্য তুলে ধরবে, এটাই চাওয়া বৃক্ষপ্রেমী হাসান ফিরোজের।

Advertisement
Share.

Leave A Reply