fbpx

বাটলারের প্রথম, ইংল্যান্ডের টানা চার!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইংল্যান্ড, দুর্দান্ত শুরু লঙ্কান বোলারদের। সেখান থেকে অধিনায়ককে নিয়ে জশ বাটলারের এগিয়ে চলা। ইংল্যান্ড ওপেনারের প্রথম শতকের দেখা মেলা সব যেন রুপকথার গল্পের মতো! সেই গল্পে জয়টা শেষ অব্দি হয়েছে ইয়ন মরগানের দলেরই। পারেনি লঙ্কানরা, হেরেছে ২৬ রানে। এই জয়ে টানা চার ম্যাচে চারটিতেই জিতল ইংল্যান্ড।

প্রথম ইনিংসের শেষ বলটা করতে দৌড়চ্ছেন দুশমন্থ চামিরা, ৯৫ রানে অপরাজিত জশ বাটলার। সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে প্রয়োজন একটা ছয়। শুধুই কি বিশ্বকাপের প্রথম, নিজেও যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাননি শতকের স্বাদ! বাটলারের চাপেই হোক অথবা নিজের ভুলে, চামিরা ইয়র্কার দিতে গিয়ে করলেন লেংথ মিস; পায়ে যাওয়া ফুলটস বলটাকে স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা!

বাটলারের প্রথম, ইংল্যান্ডের টানা চার!

অ্যালেক্স হেলস, ডাওয়িড মালান, লিয়াম লিভিংস্টন এবং অবশেষে জশ বাটলার! ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চার সেঞ্চুরিয়ান। নিজের প্রথম শতকটা এমন সময়ে তুলে নিলেন ইংলিশ এই তারকা, দল যখন দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে। পাওয়ারপ্লে না পেরোতেই নেই ৩ উইকেট, দশ ওভার শেষে উইকেট তিনটাই থাকলেও রান মোটে ৪৭।

বাটলারের প্রথম, ইংল্যান্ডের টানা চার!

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং মহেশ তীকসানার ঘূর্ণিতে যখন দিশেহারা ইংল্যান্ড, ঠিক তখনই কান্ডারি রুপে জশ বাটলার-ইয়ন মরগান। ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়েছেন নিজেদের ইনিংসটাকে, গড়েছেন ১১২ রানের জুটি। ৩৬ বলে ৪০ রান করে মরগান ফিরলেও অপরাজিত থেকে শতক তুলে নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন বাটলার। ইংলিশ ওপেনার বেছে নিয়েছেন বোলারদের, যাদের ওপর হবেন চড়াও এবং হয়েছেনও। ৪৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করা বাটলার শতক পূরণ করতে খেলেছেন আর মাত্র ২২টি বল।

ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই এখন শতকের মালিক বাটলার। নিজের অর্জনের সাথে সাথে দলকে নিয়ে গেছেন রানের পাহাড়ে। ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ রান করা ইংল্যান্ড শেষ ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ১ উইকেটে ১১৬ রান! প্রথম ইনিংস শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহটাও তাই ৪ উইকেটে ১৬৩; ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা, মাত্র ১৩ রান দিলেও উইকেটশূন্য তীকসানা।

বাটলারের প্রথম, ইংল্যান্ডের টানা চার!

শ্রীলঙ্কাকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন হাসারাঙ্গা।

হাতে থাকা ম্যাচটা যখন হাত থেকেই ফসকে যায়, তখন হয়তো কিছুই করার থাকে না। ক্রিকেটে যে মোমেন্টামটা অনেক বেশিই গুরুত্বপূর্ণ! চেষ্টা করে গেছে লঙ্কানরা, কিন্তু পায়নি সেই মোমেন্টামটা, হতে পারেনি কেউই জশ বাটলার! শেষদিকে হাসারাঙ্গা-শানাকা মিলে আশা জাগালেও নির্ধারিত বিশ ওভারে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমেছে ১৩৭ রানে। হাসারাঙ্গা করেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান। ইংলিশদের হয়ে আদিল রশিদ ১৯ রানে ২ উইকেট নিলেও, ম্যাচটা লঙ্কানদের থেকে কেড়ে তো নিয়েছেন জশ বাটলারই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply